1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৯ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
বানিয়াচংয়ের নাইন মার্ডার মামলার আসামী ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে শাল্লার কুশিয়ারা নদীতে অবৈধভাবে চলছে ড্রেজার মেশিন কোম্পানীগঞ্জে বেপরোয়া বালু সিন্ডিকেট: ঝুঁকিতে ধলাই সেতু সৎ ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে আমাকে সহযোগিতা করুন— এড. শিশির মনির ৫ কেজি গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার জামালগঞ্জে যুবদের নিয়ে দিনব্যাপী জনসচেতনতামূলক প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত প্রশাসনের নাকের ঢগায়: ছাতকে সুনাই নদীর বালু উত্তোলনে আ’লীগ সিন্ডিকেট চক্র! দৈনিক ইনফো বাংলা ৯ম বছরে পদার্পন উপলক্ষ্যে দ্বৈত ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের উদ্বোধন ‘হায় মুজিব হায় মুজিব’ মাতম করা সমালোচিত ও বিতর্কিত আওয়ামী লীগ নেতা হাজি ইকবাল গ্রেপ্তার সিলেটে বীমা কর্মকর্তা ও সমাজসেবক বদরুজ্জামানের উপর হামলা: স্ত্রীকে শ্লিলতাহানীর অভিযোগ ধর্মপাশায় পাইকুরাটি ইউনিয়ন শাখা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি গ্রেপ্তার

ঢাকা—সিলেট ও সিলেট তামাবিল সড়কের উন্নতিকরণ প্রকল্পের কাজে ধীরগতিতে হতাশায় সিলেটবাসী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই, ২০২৪
  • ৮০ বার পড়া হয়েছে

হাওরাঞ্চল ডেস্ক:

সিলেটবাসীর হতাশা বা ক্ষোভ সড়ক যোগাযোগসহ বিভিন্ন উন্নয়নের ক্ষেত্রে দেশের অন্যান্য অঞ্চলের চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে সিলেট বিভাগ। এই হতাশার মাঝে সিলেটের মানুষের স্বপ্নের প্রকল্প ছিল ‘সাসেক ঢাকা—সিলেট করিডোর—৬ লেন সড়ক উন্নয়ন প্রকল্প’ এবং সিলেট—তামাবিল মহাসড়কের ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার এলাকা ৪ লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প। প্রথম প্রকল্পের কাজের মেয়াদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। কিন্তু অর্ধেকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও কাজ হয়েছে মাত্র ১০ ভাগ। এ অবস্থায় জমি অধিগ্রহণ না করায় কিছুদিন ধরে কাজ বন্ধও রয়েছে। ফলে আরও বেড়েছে সিলেটবাসীর ক্ষোভ ও হতাশা। এমনকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট বিভাগের সংসদ সদস্যরাও।

সুত্র জানায়, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সিলেট—ঢাকা ৬ লেন মহাসড়ক প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়। এই প্রকল্পের আওতায় নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর থেকে সিলেট পর্যন্ত ২০৯ কিলোমিটার সড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণ সম্প্রসারণ এবং সিলেট—তামাবিল মহাসড়কের ৫৬ দশমিক ১৬ কিলোমিটার এলাকা ৪ লেনে উন্নীতকরণ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট—ঢাকা মহাসড়ক প্রকল্পের মেয়াদ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর সিলেট—তামাবিল সড়ক প্রকল্পের মেয়াদ ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৫ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু দুই প্রকল্পের মেয়াদই প্রায় শেষের দিকে থাকলেও এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ শেষ হয়নি। ফলে বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। এর আগে শুরু থেকে কিছু এলাকায় জমি ভরাট ও ব্রিজের কাজ হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সুত্র আরও জানায়, সিলেট—ঢাকা মহাসড়ক ৬ লেনে উন্নীতকরণে ৮২৯ দশমিক ৮৩ একর ভূমি অধিগ্রহণ প্রয়োজন। সেখানে মাত্র ৯৭ দশমিক ২৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। অন্যদিকে সিলেট—তামাবিল মহাসড়ক ৪ লেনে উন্নীতকরণে ৩৩৫ দশমিক ৭৭ একর ভূমির একটুও অধিগ্রহণ করা হয়নি। প্রকল্প দুটির জন্য ‘ভূমি অধিগ্রহণ ইউটিলিটি স্থানান্তর’ নামের আরেকটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। সেটির মেয়াদ দুই বছর এবং ব্যয় বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। সিলেট—ঢাকা মহাসড়কের জন্য এডিবি ঋণ দেওয়ার কথা ১৩ হাজার ২৪৪ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। আর সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৬৭৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে। সিলেট—তামাবিলে ২ হাজার ৯৭০ কোটি ৫৫ লাখ টাকা প্রকল্প ঋণ হিসেবে এআইআইবির কাছ থেকে পাওয়া যাবে। অবশিষ্ট ৬১৫ কোটি ৪৯ লাখ টাকা সরকারি তহবিল থেকে সরবরাহ করা হবে। অপরদিকে, ঢাকা—সিলেট—তামাবিল রোড এশিয়ান হাইওয়ে—১ এর একটি অংশ, যা বাংলাদেশের সঙ্গে এবং পাশাপাশি তামাবিল—সিলেট—কাঁচপুর—ঢাকা—যশোর—বেনাপোল হয়ে ভারতের মেঘালয় ও পশ্চিমবঙ্গকে সংযুক্ত করবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে ঢাকা—সিলেট—তামাবিল সড়ক সম্প্রসারণে ২০২০ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে জমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি সার্ভিস স্থানান্তরের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। দুই দফা সংশোধনে ব্যয় বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকা। সিলেট—ঢাকা মহাসড়ক সম্প্রসারণ প্রকল্প পরিচালক এ কে মোহাম্মদ ফজলুল করিম জানান, ‘সর্বসাকুল্যে কাজের অগ্রগতি ১০ ভাগ। ভূমি অধিগ্রহণ জটিলতায় কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জন করতে পারছি না।

সিলেট—তামাবিল সড়ক প্রকল্পের পরিচালক আবু সাঈদ মো. নাজমুল হুদা জানান, ‘এখনো আমরা এক ছটাক ভূমিও পাইনি। আশা করছি, আগামী আগস্ট—সেপ্টেম্বরের মধ্যে জমি পাওয়া শুরু হবে।’ ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প পরিচালক এবং সওজ সিলেট জোনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. ফজলে রব্বে জানান, ‘ভূমি অধিগ্রহণ জটিল ও স্পর্শকাতর প্রক্রিয়া। কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে দেরি করছে না, কোনো পক্ষ থেকে কোনো ধরনের গাফিলতি নেই। আশা করছি, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হবে।’

সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান জানান, ‘দুইটা অংশে টোটাল ৪৩টি মামলা চলমান রয়েছে। জমির মালিকদের কিছু আপত্তি আছে। সিলেটে ১৩টি মামলার সমাধান হয়ে গেলে খুব দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। এগুলোও প্রায় শেষের দিকে রয়েছে। বাকি ৩০টি ধারাবাহিকভাবে যে পর্যায়ে থাকার কথা, সেভাবে চলতেছে। আমাদের ক্যাপাসিটি ও জনবল অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি। ’

মৌলভীবাজার—২ আসনের সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল জানান, ‘এখন যে সময় বাকি আছে, তাতে কাজ শেষ হওয়ার কথা নয়। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের যোগাযোগ যেভাবে এগিয়েছে, দুর্ভাগ্যজনকভাবে এই অগ্রগতির সঙ্গে আমরা তাল মিলাতে পারছি না। এর পেছনে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা অন্যতম কারণ।’

সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও সিলেট—১ আসনের সংসদ সদস্য ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানান, ‘কাজ না হওয়ার জন্য  সিলেট বিভাগের জেলা প্রশাসকরাই (ডিসি) দায়ী। ওরা কাজ করে না। যেখানে অধিগ্রহণ করছে, ওই লোকগুলোরে টাকা দিচ্ছে না। রোডস অ্যান্ড হাইওয়ে ৭০০ কোটি টাকাও দিয়েছে ডিসি সাহেবকে। উনি বলেন, দলিলের বালাম বইয়ের পাতা চুরি হওয়ায় চেক হস্তান্তর করা যাচ্ছে না। বালাম বই চুরি হবে কেন? আমরা এমপিরা শুধু তদবির করতে পারি। ইঞ্জিনিয়াররা বলছেন, ডিসি সাহেবরা আমাদের জমি দেয় না, আমরা টেন্ডার দিতে পারি না। একটা না একটা তারা এক্সকিউজ দেয়। আমাদের জেলা প্রশাসকরা খুব অথর্ব। এ জন্য এত দেরি হয়। ’

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন