সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দ্রুত একটি নির্বাচন প্রয়োজন। নিঃস্ব, শোষিত ও বঞ্চিত নাগরিকরা কাঙ্খিত গণতান্ত্রিক বাংলাদেশের জন্য প্রাণ দিয়েছে। সে কারণেই, উৎকৃষ্ট গণতন্ত্রের পথে দ্রুততায় প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার চায় জনগণ। তাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে সংস্কার কাজগুলো দ্রুততার সাথে করার দরকার।
শনিবার বিকাল ৪ টায় সিলেট সিটি করপোরেশনের নবগঠিত ২৯ নং ওয়ার্ডের বৃহত্তর ধরাধরপুরে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব বলেন।
তিনি বলেন, ‘অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন হবে। রাষ্ট্রের ব্যাপক সংস্কার জনগণের সিদ্ধান্তে হতে পারে। এতে অতীতের দলীয়করণ বাদ পড়বে। সব দলমতের ঊর্ধ্বে গিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালনের তাগিদ থাকবে। মানুষ এই মহূর্তে এটাই চাই। এখন বড় পরিবর্তন হলো মানুষ এখন নিজেকে দেশের নাগরিক ভাবতে পারছে। বহুমত তৈরি করার পথ সৃষ্টি হচ্ছে। তাই বলে এমন কিছু করব না যাতে সংকট তৈরি হয়।’
গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভায় কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্র—জনতার অভ্যুত্থানকে মূল্যায়ন করতে না পারলে তাদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করা হবে। রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সঙ্কট সৃস্টির যে কোনো ষড়যন্ত্র জাতীয় ঐক্য ও সংহতির মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ করা হবে। নতুন করে এ ধরনের সঙ্কট যাতে সৃস্টি না হয়। সেজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।’
কাইয়ুম চৌধুরী আরো বলেন, ‘দুর্ভিক্ষ হওয়া দেশে একমাত্র শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান খাদ্যের স্বয়ংপূর্ণ এনেছিলেন। পরনির্ভরশীলতা দুর করতে হবে। অর্থনৈতিক সংস্কারে অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্যোগগুলো এখনো পরিষ্কার নয়। এদেশের মানুষ খেয়েপড়ে বাঁচতে চায়। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ বাঁচাতে সিন্ডিকেট ভাঙতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে তারেক রহমান সৃজিত সম্প্রীতিমূলক রাষ্ট্রসত্ত্বা আমাদের জন্য একটা আদর্শিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা হবে। তাছাড়া বিএনপি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার সহ সকল রাষ্ট্রীয় কাজে স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরনে শক্তিশালী ভুমিকা রাখবে।’
বৃহত্তর ধরাধরপুরের বিএনপির প্রবীণ নেতা জামাল আহমেদের সভাপতিত্বে বিএনপি নেতা আফজাল হোসেন মুন্নার পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক কোহিনূর আহমেদ, সহ দফতর সম্পাদক মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, শামসুর রহমান সুজা, আশরাফুল আলম বাহার, আজমল আলী, আব্দুল মুমিন ছইল, সাদেক আহমদ, আব্দুল মালিক মল্লিক, পাবেল রহমান, হেলাল উদ্দিন সহ এলাকাবাসী এবং বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর উপস্থিত ছিলেন।