সুনামগঞ্জে সন্তানকে প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশীর ঘরে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা মামলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গ্রেফতার হওয়া ওই ইউপি সদস্য সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের লালপুর গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র আব্দুল মমিন (৪১)।
রবিবার সকালে পুলিশ সুপারের নির্দেশে সদর থানার অফিসার ইনচার্জ নাজমুল ইসলামের দিকনির্দেশনায় এসআই মহিন উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে আসামীর নিজ এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। জান যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা লালপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের বসবাসরত ওই নারীর সন্তানকে প্রতিবন্ধী কার্ড দেয়ার কথা বলে প্রতিবেশীর ঘরে নিয়ে যান স্থানীয় ইউপি সদস্য মুমিন মিয়া।
এ সময় ঘরের মালিক কাউসার মিয়া ও খুদেজা দম্পতি দরজার খিল লাগিয়ে চলে গেলে ইউপি সদস্য মুমিন মিয়া জোরপূর্বক ওই নারীকে ধর্ষণ করেন এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে ধর্ষণের ভিডিও ছড়িয়ে মানহানি ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়। এই ঘটনায় জড়িদের গ্রেফতারের দাবিতে ইউপি সদস্য মুমিন মিয়া ও অভিযুক্ত দম্পতিকে আসামি করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের করেন ভিক্টিম নারী। গৃহবধূর দায়ের করা ওই মামলায় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ইউপি সদস্য মমিন মিয়াকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি নাজমুল ইসলাম জানান, সদর উপজেলার লালপুর গ্রামের এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় ইউপি সদস্য মমিন মিয়াকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আসামীকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।