স্টাফ রিপোর্টার:

সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য, সাবেক জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতি, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তাহিরপুর,জামালগঞ্জ,ধর্মপাশা ও মধ্যনগর উপজেলার তৃনমুল আওয়ামীলীগের জনপ্রিয় ও জনদরদী এবং সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য সেলিম আহমদ এর জনপ্রিয়তায় ইশ্বান্বিত হইয়া একটি সংঘবদ্ধ চক্র ফেইসবুকে কুৎসা রটানোর অভিযোগে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন সেলিম আহমেদ। যার সাইবার মামলা নং ২১৮/২৩ইং।

বর্তমান বিতর্কিত সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেনের সমর্থিত ও সাবেক বাদাঘাট ইউপি চেয়ারম্যান আপ্তাব উদ্দিন, সোহালা গ্রামের চান মিয়ার পুত্র নুরুল আমিন নিরব, সোনাপুর গ্রামের উসমান গনির পুত্র সবুজ আহমদ জয়, কারারবন্দ গ্রামের আব্দুস সহিদের পুত্র সজল সিদ্দিকী, সুখাইর গ্রামের মনাফ মিয়ার পুত্র লিটন আহমদ শান্ত, নওদা গ্রামের হাজী মাসুদের পুত্র ও এমপি রতনের ভাতিজা তানভীর হাসান সাগর, বাঘবাড়ি নোয়াগাও গ্রামের আব্দুর রশিদের পুত্র হারুন মিয়া, মধ্যনগর উপজেলার নিচিন্তপুর গ্রামের বসন্ত সরকারের পুত্র লেলিন সরকার, এমপি মোয়াজ্জেম হোসেনের ব্যাক্তিগত সহকারী আবদুর রাজ্জাক পাভেল ও মধ্যনগর চামরদানী উত্তরের ভানু মাষ্টারের পুত্র বিদ্যুৎ সরকারকে আসামী করা হয়েছে। আসামীরা পরস্পর যোগসজসে একই উদ্দেশ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের শক্তিশালী মনোনয়ন প্রত্যাশী সেলিম আহমদের মরহুম পিতা ও তার ব্যক্তিগত চরিত্র হননের অপেচষ্টা করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সাইবার অপরাধ দমন আইন ২০২৩ এর ২৫(২)/২৯/৩১(২)/৩৩ ধারায় মামলাটি সাইবার ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিজ্ঞ বিচারক আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে সেলিম আহমদ জানান, বর্তমান সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের অনুসারীরা আমার জনপ্রিয়তা দেখে ইশ্বান্বিত হইয়া আমার ও আমার মরহুম পিতার নামে কুৎসা রটাচ্ছে। আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল তাই সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছি। নাম উল্লেখিত আসামীসহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে আমার বিরুদ্ধে কুৎসা রটিয়ে শেয়ার, লাইক, পোস্ট ও কমেন্টস এর মাধ্যমে সারা দেশে ছড়িয়ে দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে ভুল বুঝা বুঝির সৃষ্টি করার অপচেষ্টা করছেন। এজাহারনামীয় আসামীগণ সহ অজ্ঞাতনামা আসামীরা পরস্পর যোগসাজসে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করে সাইবার অপরাধ ঘটিয়েছেন। তাদের উদ্দেশ্যে হচ্ছে আমি যাতে আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ হতে মনোনয়ন না পাই,সেই জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার জনপ্রিয়তা নষ্ট করার লক্ষ্যে আমার ও আমার পরিবার সম্পর্কে মিথ্যা, বানোয়াট, আক্রমণাত্মক, ভীতি প্রদর্শক তথ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে পোস্ট ও প্রচার করিয়া আমার মানসম্মান হানী,  অপমান, অপদস্থ এবং সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা সহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার জনগণের মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা এবং বিদ্বেষ সৃষ্টি করতঃ সম্প্রীতি নষ্ট বা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা করছে। যার ফলে এলাকায় আইন শৃঙ্খলা চরমভাবে অবনতি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। তাই উক্ত বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন বিধায় মামলা করেছি।

এ ব্যাপারে সাইবার ট্রাইব্যুনালের অতিরিক্ত পিপি জাহাঙ্গীর আলম মামলটি আমলে নিয়ে তদন্তপুর্বক প্রতিবেদনের জন্য পিবিআইকে নির্দেশনা দিয়েছেন বিজ্ঞ বিচারক।