1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ০২:০১ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
ফ্যাসিস্ট সরকার ভোট চুরি করে দীর্ঘ কয়েক বছর ক্ষমতায় ছিল : খন্দকার মুক্তাদির প্রবাসীরা আমাদের দেশের অমূল্য সম্পদ : এম এ মালিক নির্বাচন যত দেরী হবে দেশ তত পিছিয়ে যাবে- সিলেটে মির্জা ফখরুল প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করণে নির্বাচন কমিশনের দৃশ্যমান কর্মতৎপরতা চাই- জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ব্যারিস্টার নাজির মধ্যনগর পুলিশের বিশেষ অভিযানে ওয়ারেন্ট ভোক্ত দুইজন আসামি গ্রেপ্তার মধ্যনগরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ভারতীয় কাপড়সহ একজন গ্রেপ্তার অস্ত্র-বিস্ফোরক ও সাইবার মামলার আসামী প্রতারক মামুনকে গ্রেফতারে মরিয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সিলেটে গ্লোবাল টেলিভিশনের তৃতীয় বর্ষপূর্তি পালিত আদালত অবমাননার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল সিলেটে ভুয়া ওয়ারেন্টে গ্রেফতারকৃত ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক কাওছার জামিনে মুক্ত : তদন্ত কমিটি গঠিত

 সিলেটে আইনজীবী পিতা খুনের ঘটনায় ছেলেসহ ৩ জনের ফাঁসি

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ৬ মে, ২০২৫
  • ২৫ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:

সিলেটে আইনজীবী শামসুল ইসলামকে খুনের ঘটনায় ছেলেসহ ৩জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো: সাহাদৎ হোসেন প্রামানিক।

মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় ঘোষনা করা হয়। ফাঁসির আদেশ প্রাপ্তরা হলেন- নগরীর মীরবক্স টুলার আজাদী-১১০ বাসার বাসিন্দা মসুদ ওরফে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে জাহের আলী ও সুনামগঞ্জের ছাতক থানার রাউলি গ্রামের সুরুজ আলীর ছেলে আনসার আহমদ। পাশাপাশি রায়ে তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদÐের পাশাপাশি ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, আরেকটি ধারায় ৩ বছর করে সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  মামলার ওপর আসামি ড্রাইভার বোরহান উদ্দিনকে ২০১ ধারায় ৩ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আরেক আসামি ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।

সুত্র জানায়, সিলেট নগরীর মীরবক্স টুলার বাসাবাড়ী পুত্র মুন্নার নামে লিখে না দেয়ায় পিতাকে ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে-বরাতের রাতে নামাজরত অবস্থায় তার নিজ বাসায় মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে গুরতর জখম করে এবং পরবর্তীতে গাড়ী দিয়ে তাকে সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদীতে ফেলে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে র‌্যাব-৯ অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৩জনকে গ্রেফতার করে এবং তাদের কাছ থেকে হত্যার রহস্য উম্মোচন করতে সক্ষম হয়। পরে নিহতের অপর পুত্র একই বছরের ৪ আগস্ট মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

সুত্র আরও জানায়, প্রবীণ আইনজীবী শামসুল ইসলাম চৌধুরীকে সবে-বরাতের নামাজরত অবস্থায় তার ছেলে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্না পেছন দিক থেকে প্রথমে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এরপর তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে চেতনানাশক ইনজেকশন দিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় গাড়িতে তুলে সুনামগঞ্জের ছাতকের মল্লিকপুর এলাকার সুরমা নদীতে ফেলে দেয়া হয়। এর কয়েকদিন পর সুনামগঞ্জের ব্রাহ্মণগাঁও গ্রামের পার্শ্বে সুরমা নদীতে তার মরদেহের অংশ বিশেষ পাওয়া যায়। এই ঘটনায় ঘাতক মুন্নাকে গাড়িচালকসহ তিনজন সহযোগীতা করেন। এ ঘটনায় ওই বছরের ৪ আগস্ট মুন্নার বড়ভাই মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার এক সপ্তাহ পর র‌্যাব-৯ এর সদস্যরা আনসার, বোরহান ও রানুকে আটক করেন এবং আনসার ও বোরহান ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা আদালতে স্বীকার উক্তিমুলক জবানবন্দী দেন। ঘটনার ১৯ দিন পর ২৭ আগস্ট পুলিশ সুনামগঞ্জের ছাতকের সুরমা নদী থেকে এডভোকেট শামছুল ইসলামের মরদেহের কিছু অংশ, পাঞ্জাবী ও টুপি উদ্ধার করে। পরে সেগুলো ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়।

আরও জানা যায়, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই পবিত্র শবে বরাতের রাতে অনুমান সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে তৎকালীন সিলেট জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শামসুল ইসলামকে নিজ বাসায় হত্যা করা হয়। হত্যার পর রাতেই মরদেহ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের লামাকাজি এলাকায় সুরমা নদীতে নিয়ে ফেলা হয়। চাঞ্চল্যকর এই হত্যায় নিহতের বড় ছেলে মাহমুদ আহমদ চৌধুরী বাদী হয়ে সহোদর মসুদ ওরফে মাসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্নাসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করেন কোতোয়ালি মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) খায়রুল ফজল। পর্যায়ক্রমে মামলাটি র‌্যাব-৯-এ স্থানান্তর করা হলে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ইদ্রিছ আলী ৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের ১৩মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র (নং-৯১) দায়ের করেন।  এরই মধ্যে গ্রেপ্তারের পর মামলার আসামি বুরহান উদ্দিন ও আনসার আহমদ আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়ে হত্যাকাÐের সাথে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেন। ২০১৫ সালের ১৫ মে সিলেটের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মিজানুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ মামলার চার্জ গঠন করে বিচারকাজ শুরু করেন। মামলাটি বিচারের জন্য অত্র আদালতে স্থানান্তরিত হলে ১৪ বছরের মাথায় এ মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।

সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পেশকার মো. আহমদ আলী জানান, মুন্না তার বাবাকে প্রায় সময়ই নির্যাতন করত এবং মীরবক্সটুলার বাসার সামনের অংশ তার নামে লিখে দিতে চাপ দিতো।

সিলেট বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের পিপি এডভোকেট আনছারুজ্জামান জানান, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরেই আইনজীবী পিতাকে খুন করে পুত্র মসুদ আহমদ চৌধুরী মুন্নাসহ তিনজন। তাদের প্রত্যেককে ফাঁসির দন্ডাদেশে দেয়া হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন