বিশেষ প্রতিনিধি:
হাওরপাড়ের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন আধুনিক সুযোগ সুবিধাবঞ্চিত অজপাড়া গায়ে থেকেও অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার শাল্লা গ্রাম থেকে সাতজন সন্তানকেই সুপ্রতিষ্টিত করতে পেরেছেন তাঁর জীবদ্দশাতেই এবং মেধা দক্সতা, একাগ্রচিত্ত ও কঠিন অধ্যবসায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রের সম্মানজনক খেতাব রত্নগর্ভা মায়ের স্বীকৃতি পেয়ে জেলার সুনাম বাড়িয়ে দিলেন জিন্নাতুন্নেছা চৌধুরী নামের এক মহিয়শী মা।
তিনি আর কেউ নন আমাদের সুনামগঞ্জের গর্ব শাল্লা উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রতিষ্টাতা সভাপতি ও শাল্লা উপজেলা পরিষদের জননন্দিত চেয়ারম্যান মরহুম আব্দুল্লাহ মান্নান চৌধুরীর সহধর্মীনি। উনার বড় ছেলে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন। উনার দ্বিতীয় ছেলে পিতার পদাঙ্ক অনুসরণকারী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন চৌধুরী) উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শাল্লা উপজেলা চেয়ারম্যান। আরও দুই ছেলে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োজিত আছেন। তাদের মধ্যে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-হোসাইনী, সহযোগী অধ্যাপক (লোক প্রশাসন বিভাগ) ও চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-বাকী, সহকারী অধ্যাপক (অর্থনীতি বিভাগ)। তিন নম্বর ছেলে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-আহসান মুমিন একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। দুই মেয়ের মধ্যে বড় মেয়ে চৌধুরী খুজেস্তা আখতার শারমিন হবিগঞ্জে একটি স্কুলে শিক্ষকতা করছেন অপর বোন চৌধুরী খুজেস্তা আখতার নাজরীন, সুইডেনে শিক্ষকতা পেশায় নিয়োজিত আছেন।
মায়ের অবদান সম্পর্কে দ্বিতীয় ছেলে শাল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল আমিন চৌধুরী) জানান, আমাদের বর্তমান পজিশনে আসার পেছনে বলতে গেলে সব অবদান আমার মায়ের। আমার পিতা রাজনীতি ও সমাজসেবায় যুক্ত থাকায় আমাদের প্রতি খেয়াল রাখার সুযোগ ছিল না।
বাবার এ দুর্বলতার জায়গা আমার মা বুঝতে পেরে আমাদের লেখাপড়ার দায়িত্ব নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। তবে তার অনুপ্রেরণায় আমরা সবাই মোটামুটি একটা অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা আমাদের মায়ের দীর্ঘায়ু কামনা করছি। সবার কাছে দোয়া চাচ্ছি। মাকে রত্নগর্ভা উপাদিতে ভুষিত করায় আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।