হাওরাঞ্চলের কথা :: ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস; জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনায় উদ্দীপ্ত হওয়ার দিন।
জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে সিলেটে মঙ্গলবার (১৭ মার্চ) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের আলোচনা সভায় বিভাগীয় কমিশনার ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান বিপিএম (বার)-পিপিএম-সেবা, এসএমপি’র পুলিশ কমিশনার মো. ইলিয়াছ শরীফ বিপিএম (বার)-পিপিএম, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জাকির হোসেন।
‘শুভ! শুভ! শুভদিন বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন’ স্লোগানে মুখরিত করে শিশু-কিশোরদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে ড. মুহাম্মদ মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাঁর নাম চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। তোমরা অনেক ভাগ্যবান যে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলায় ও ত্রিশ লক্ষ শহিদের বাংলাদেশে আবার তাঁর নাম শুনতে পারছো।
বঙ্গবন্ধুর ১০৩তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের প্রতিপাদ্যের ‘স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন, শিশুদের চোখ সমৃদ্ধির স্বপ্নে রঙিন’ এর যথার্থতা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ২০৪১ সালের আগেই বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ রূপান্তরের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে সক্ষম হবো। আর তোমরা হবে সে বাংলাদেশের কর্ণধার।
সারাদেশের মতো সিলেটেও শিশুদের নিয়ে বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয়। সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন কর্মসূচি। শিশু-কিশোররা আনন্দে ও প্রাণোল্লাসে মেতে উঠে।
দিনটির তাৎপর্য তুলে ধরে স্থানীয় সংবাদপত্রসমূহে বিশেষ নিবন্ধ, সাহিত্য সাময়িকী ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদযাপনের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন বঙ্গবন্ধুর বর্ণাঢ্য জীবনী নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনী, ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ, ভিডিও প্রদর্শন ও বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। মসজিদ, মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডাসহ সকল উপাসনালয়ে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হয়।