স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে অসহায় হিন্দু পরিবারের সদস্যদের উপর প্রভাবশালী সন্ত্রাসীদের হামলা ও ভাংচুর ঘটনায় আদালতের নির্দেশে মামলা রুজু করলেও ধরা ছোয়ার বাইরে আসামীরা। আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী ক্ষতিগ্রস্থ চান বর্মনের।
মামলা ও স্থানীয় সুত্র জানায়, সুনামগঞ্জ পৌর শহরের মধ্যবাজার এলাকায় গেল ১২ নভেম্বর ২০২৩ইং তারিখে কালিপুজার দিন সকালে চান্দু বর্মনের দরজার সামনে ময়লা আর্বজনা নিয়ে প্রতিপক্ষ ভানুদে ও তার লোকজন লোহার রড, হকিষ্টিক, কাঠের রুইল নিয়ে চান্দু বর্মন ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর হামলা চালায়। এ সময় চান্দু বর্মনের বৃদ্ধ মাতা প্রতিপক্ষকে জিজ্ঞাসা করতে গেলেই প্রতিপক্ষের লোকজন বৃদ্ধার উপরও হামলা চালিয়ে প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখমসহ ডান হাত ভেঙ্গে দেয়। এ ঘটনায় আশপাশের লোকজন দৌড়াইয়া আসিয়া প্রতিপক্ষের কবল থেকে চান্দু বর্মন ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রাণে রক্ষা করেন এবং সিএনজি যোগে তাদেরকে উদ্ধার করিয়া সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। প্রতিপক্ষের হামলায় চান্দু বর্মন ও তার স্ত্রী চন্দনা বর্মন এবং বৃদ্ধ মা বিনোদিনী বর্মন শিশু কন্যা জয়ন্তিকা বর্মনকে ও গুরুতর আহত করেন। চান্দু বর্মনের মাথায় দারালো অস্ত্রে আঘাতে এবং বৃদ্ধা মায়ের হাত ভেঙ্গে গুরুতর জখম করে। এ সময় চান্দু বর্মনের স্ত্রী চন্দনা বর্মন ও শিশু কন্যা সন্তানকে পিঠিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ ঘটনায় চান্দু বর্মনের স্ত্রী চন্দনা বর্মন বাদী হইয়া পানুদে’র পুত্র পার্থ দে, ভানু দে, পানু দে, অরুন দে, রতন দে, কিরন দেও শান্তদে দে কে বিবাদী করে সুনামগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেও পুলিশ স্থানীয় প্রভাবশালীদের ইশারায় কোন আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় চন্দনা বর্মন জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি নালিশ দায়ের করেন।
বিজ্ঞ বিচারক বাদিনীর নালিশটি আমলে নিয়ে অভিযোগটি এফআইআর করার জন্য সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানাকে নির্দেশনা প্রদান করেন। আদালতের নির্দেশনা পেয়ে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ অভিযোগটি এফআইআর হিসেবে অন্তর্ভুক্তি করলেও আসামীদের গ্রেফতার না করায় ক্ষতিগ্রস্থ চান্দু বর্মন ও তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
এ ব্যাপারে চান্দু বর্মন জানান, আসামীরা এক প্রভাবশালীর বাসায় ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কাজ করার কারণে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহন করছে না। আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু হলেও প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে যে, আমাদের সুযোগমত পাইলে প্রাণে হত্যা করিয়া ভিটে ছাড়া করা হবে এবং পুলিশ তাদেরকে ধরবে না। আমি ন্যায় বিচারের জন্য মাননীয় পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান, আদালতের নির্দেশে আসামীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা রুজু করা হয়েছে এবং আসামীগের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করছে।