1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
সুনামগঞ্জে সরকারি খাস বিল ও ডোবা নগদ টাকায় বিক্রির অভিযোগ শিক্ষক আমির আলীর বিরুদ্ধে মৌলভীবাজারের জুড়ীতে ট্রাকের চাকায় পৃষ্ঠ হয়ে এক শিশু নিহত শাল্লা কলেজের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন দোয়ারাবাজারে হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কমিটি গঠন : সভাপতি হেলালী, সম্পাদক আশিস, সাংগঠনিক মুন্না ১৭ বছর পর কারামুক্ত বাবর বিশ্বম্ভরপুরের সলুকাবাদ ইউনিয়নে জনসচেতনতামুলক গণনাটক প্রদর্শনী রণজিৎ সরকার ও ড. সাদিকসহ সাবেক ৩১ এমপির গাড়ি নিলামে সিলেট সীমান্তজুড়ে চোরাচালাণের স্বর্গরাজ্য ধরা ছোঁয়ার বাইরে মুল হোতারা শিক্ষায় বিশেষ অবদানে গুণিজন সম্মাননা পেলেন সিলেটের সন্তান শিক্ষক মুহিবুর রহমান চৌধুরী সুনামগঞ্জে ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদীতে পুলিশের অভিযান

সুনামগঞ্জে সেই ডিডির ‘প্রমোদখানা’য় পাওয়া গেল বিদেশি মদ!

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে বৃহস্পতিবার, ২২ আগস্ট, ২০২৪
  • ৬২ বার পড়া হয়েছে

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি:  সুনামগঞ্জ যুব উন্নয়নে অধিদপ্তরে প্রশিক্ষণার্থীদের কাছ থেকে ঘোষ নিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা এবং ভিআইপি গেস্ট রুম দখল করে উপ—পরিচালক গড়েছেন ‘প্রমোদখানা’— এমন খবরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা সেখানে গিয়ে উদ্ধার করেছেন বিদেশি মদের বোতল, দামি গাড়ি কেনার রশিদসহ নানা সামাগ্রী।

বুধবার দুপুরের পর কয়েকশ শিক্ষার্থী শহরের নবীনগর এলাকায় অবস্থিত যুব উন্নয়ন অফিসে গিয়ে প্রশিক্ষক ও কর্মচারিদের নিয়ে তল্লাসি চালান। শিক্ষার্থীদের আসার খবর পেয়ে পালিয়ে যান অফিসের উপ—পরিচালক (ডিডি) মো. শাহনূর আলম।

এদিকে, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে ডিডির কক্ষ তল্লাসী করেন। এ সময় শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করা সামগ্রী জব্দ করে পুলিশ।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, উপ—পরিচালক শাহনূর আলম ২০১৭ সাল থেকে জেলা যুব উন্নয়নের উপ—পরিচালক (ডিডি) পদে দায়িত্ব পালন করছেন মো. শাহনূর আলম। ওই সময়ে অফিসের কিছু অসাধু প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদেও নিয়ে গড়ে তুলেছেন দুর্নীতির একটি চক্র। ভর্তি ফি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, খাবার সরবরাহ— সকল ক্ষেত্রেই মোটা অংকের উৎকোচ নেয় এই চক্রটি। ডিডির পক্ষে আবুল নামের এক কর্মচারি উৎকোচের টাকা তুলতেন ডিডির হয়ে।

তারা আরও অভিযোগ করেন, তিনটি কক্ষ নিয়ে করা অফিসের ভিআইপি গেস্ট রুমটি দখল করে থাকতেন ডিডি। সেখানে মাদক সেবনসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তিনি। নিজে ‘জয় বাংলার লোক’ এমন প্রভাব দেখিয়ে কাউকে টুশব্দ করতে দিতেন না।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ বারী জানান, যুব উন্নয়নের প্রশিক্ষণ নিতে আসা শিক্ষার্থীরা আমাদের জানান অফিস প্রধানের নির্দেশে তাদের কাছ থেকে ঘুষ আদায় করা হচ্ছে। আমার ডিডির সাথে এ নিয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বুধবার দুপরে আমাদের আসতে বলেন। কিন্তু আমাদের আসার আগেই মোবাইল ফোন অফ করে তিনি পালিয়ে যান। পরে প্রতিষ্ঠানের প্রশিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে আমরা ডিডির আবাসিক রুম তল্লাসি করে মদের বোতলসহ নানা অনৈতিক কর্মকান্ডে ব্যবহৃত জিনিসপত্র পাই।

তিনি আরো বলেন, আমরা আসার পর ডিসি চক্রের নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের কথা বলেন শিক্ষার্থী ও প্রশিক্ষকরা।

সুনামগঞ্জ সদর থানার উপ—পরিচালক উজ্জ্বল মিয়া বলেন, শিক্ষার্থীদের ফোন পেয়ে যুব উন্নয়নে গেলে ডিডির কক্ষে মদের বোতল, মোটা অংক দিয়ে গাড়ি কেনার রশিদ ইত্যাদি জব্দ করি। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন