স্টাফ রিপোর্টার:
গত ৪ আগস্ট সুনামগঞ্জে ছাত্র—জনতার মিছিলে পুলিশ ও স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকারের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ক্যাডারদের হামলার ঘটনায় গেল ২রা সেপ্টেম্বর ৯৯ জনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরো ১৫০/২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়েরের ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মামলার সাক্ষীরা।
জানা যায়, সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার এরুয়াখাই গ্রামের জনৈক হাফিজ আহমদ গত ৪ আগস্ট ছাত্র—জনতার মিছিলে আওয়ামীলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও পুলিশের হামলা গুলিবিনিময় ও একজন আইনজীবী নিহতের ঘটনায় দীর্ঘ ১ মাস পর মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় সাংবাদিকদের জড়ানোতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন মামলার মানিত সাক্ষীরা। এই মামলায় যাদের স্বাক্ষী করা হয়েছে তাদের বেশিরভাগই ঘটনার বিষয়ে কিছু জানেন না। স্বাক্ষীরা জানিয়েছেন তারা বাদীকেও চিনেন না এবং তাদেরকে না জানিয়েই মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় সুনামগঞ্জ শহরের তিনজন সংবাদকমীর্কে মামলার আসামী করায় ক্ষোভে ফেঠে পড়ছেন সাধারন মানুষসহ বিএনপি’র শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
ভুক্তভোগী নিরপরাধ আসামিদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার মূলধারার পেশাদার সাংবাদিক দৈনিক কালের কণ্ঠ ও একাত্তর টিভির প্রতিনিধি শামস শামীম এবং দৈনিক আমাদের সময় ও আরটিভির জেলা প্রতিনিধি বিন্দু তালুকদার ও ভোরের পাতা’র প্রতিনিধি সামিয়ান তাজুলকেও আসামি করা হয়েছে। অবশ্য বিন্দু তালুকদার সুনামগঞ্জ জেলা কৃষকলীগের সাধারন সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তারা কেউ এই ঘটনায় সম্পৃক্ত নন বলেও স্বাক্ষীরা জানিয়েছেন। এভাবে এই মামলায় প্রকৃত অনেক আসামিকে বাদ দিয়ে নিরপরাধ মানুষকে আসামি করে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত নন তাদেরকে হয়রানী না করতেও আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। এ ছাড়াও সুনামগঞ্জ—৪ আসনের আওয়ামীলীগের মনোনিত সাবেক এমপি ড. মোহাম্মদ সাদিক ঘটনার দিন মিছিলে উপস্থিত থেকে নেতৃত্ব দিলেও তাকে আসামী না করায় সাধারন মানুষের মাঝে বিরোপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে বলছেন ঘটনার সাথে যারা জড়িত নন কিংবা আদৌ ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন না তাদেরকে অযথা হয়রানী না করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
বর্তমান অন্তবতীর্কালীন সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বার বার সাংবাদিকদের কোন ধরনের হয়রানী করা হবে না বলেও প্রকাশ্যে বক্তব্য দিলেও অতি উৎসাহীরা না মেনে সাংবাদিকদের হয়রানীমুলক মামলায় জড়ানো হচ্ছে।