স্টাফ রিপোর্টার
সুনামগঞ্জের ধোপাজান চলতি নদী বালি মহালটি মামলার কারনে দীর্ঘ বছর ধরে ইজারা না দেয়ার কারনে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে । অন্যদিকে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসৎ কর্মকর্তার অনিয়ম দুর্নীতির কারণে লুটপাট হচ্ছে শত কোটি টাকার খনিজ সম্পদ বালি পাথর। বেকার হয়ে বসে আছে হাজার হাজার বারকি। সরকার যদি এই মহালটি খাস কালেকশনের ব্যবস্থা করত তাহলে প্রচুর পরিমানে রাজস্ব পেত অন্যদিকে হাজার হাজার মানুষের আয় রোজগারের পথ সুগম হতো। এখানে পরিবেশের ক্ষতির চেয়ে দেশ ও দশের লাভ হতো।
ডলুরা গ্রামের দিন মজুর করিম জানান, বর্ষার সময় পাহাড়ি ঢলের পানির সাথে উজানের ভারত থেকে বালি পাথর ও গাছ গাছরা ভেসে আসে। পাথর বালি নদীর তলদেশে পরে নদীর নাব্যতা হারিয়ে যাওয়ায় অকাল বন্যা দেখা দেয় এবং আমাদের ঘরবাড়ি গাহারী বন্যার বেগে ভেসে যায়। ক্ষতির মুখে পড়তে হয় আমাদের। অথচ এই নদী থেকে বালি পাথর তুলে আমাদের সংসার চালাতে সহজ হতো। ইজারা বন্ধ থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে রাতের আঁধারে শত শত স্টিল বডি নৌকা দিয়ে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে কোটি টাকার খনিজ সম্পদ বালি পাথর লুট করে অনেকেই কয়েক বছরে বাড়ি বাড়ীর মালিক হয়েছেন। আর আমরা দিন মজুর রয়ে গেলাম। আমরা চাই এ সরকার বালি মহালটি ইজারা দিয়ে আমাদের কাজের সুযোগ করে দিবেন।
বালি পাথর ব্যবসায়ী সাইদুর রহমান জানান, ধোপাজান বালি মহালটি ইজারা দিলে সরকার, সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আমরা ব্যবসায়ীরাও উপকৃত হবো।জে
লা প্রশাসক ডঃ ইলিয়াছ মিয়া জানান, ধোপাজান মহাল নিয়ে খুবই সমস্যায় আছি। না পারছি ইজারা দিতে না পারছি রক্ষা করতে। তবে এ বিষয়ে মন্ত্রনালয়ে চিঠি লিখেছি।