হাওরাঞ্চলের কথা :: সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালের ২৫শে মার্চ সেই ভয়াবহ কালরাতে পাকবাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসররা নিরিহ জনতার উপর ঝাপিয়ে পড়ে বর্বরোচিত গণহত্যা চালিয়েছিল, ঠিক তখনই দিশেহারা জাতিকে মুক্তির দেয়ার প্রত্যয় নিয়ে চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র দখলে নিয়ে দীপ্ত কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষনা দিয়েছিলেন তৎক্ষালিক মেজর জিয়াউর রহমান। তার ঘোষনার পর সামরিক বাহিনীতে কর্মরত মুক্তিকামী বাংলাদেশী অফিসার, সৈনিক, দেশের কৃষক, শ্রমিক, জনতা সহ সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধ শুরু করে। এক সাগর রক্ত আর বহু ত্যাগের ফলে দেশ স্বাধীন হলো। কিন্তু যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির সূর্য সন্তানরা বুকের তারা রক্ত বিলিয়ে দিয়ে একটি মানচিত্র ও লালসবুজের পতাকা এনেছিলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও শহীদদের সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হচ্ছেনা। বরং বর্তমান সরকারের ঝুলুম, নির্যাতন ও নীপিড়ন কিছু কিছু ক্ষেত্রে পাকিস্তানী বর্বরতাকেও হার মানাচ্ছে।
রোববার সকালে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সিলেট জেলা বিএনপির উদ্যোগে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে সমবেত দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামীলীগ স্বাধীনতার চেতনা জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের ভোট ও ভাতের অধিকার হরণ করে ক্ষমতা আকড়ে বসে আছে। এই ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন ঘটিয়ে দেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনায় জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ও মুুক্তিযুদ্ধ একটি সূত্রে গাঁথা। মানুষের ভোটাধিকার, মৌলিক অধিকার ও ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধ করে দেশকে স্বাধীন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান সরকারের সময়েও মানুষের কথা বলার অধিকার নেই, ভোটাধিকার নেই, মানবাধিকার নেই। তাই প্রয়োজনে ১৯৭১ সালের মত আবারো দেশবাসীকে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ইনশাআল্লাহ অতিশীঘ্রই এই ফ্যাসিস্ট সরকারের পতন হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপি নেতা এডভোকেট আশিক উদ্দিন আশুক, মামুনুর রশিদ মামুন (চাকসু), ফখরুল ইসলাম ফারুক, একেএম তারেক কালাম, নজমুল হোসেন পুতুল, ইশতিয়াক আহমদ সিদ্দিকী, এডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন, তাজরুল ইসলাম তাজুল, মামুনুর রশিদ মামুন, আনোয়ার হোসেন মানিক, কোহিনুর আহমদ, আবুল কাশেম, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, এডভোকেট মুজিবুর রহমান, এডভোকেট মুমিনুল ইসলাম, এডভোকেট সাঈদ আহমদ, মুশিকুর রহমান মুহি, এডভোকেট আল আসলাম মুমিন, এডভোকেট বদরুল ইসলাম চৌধুরী, আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, শাকিল মোর্শেদ, রেজাউল করিম নাচন, এডভোকেট মোস্তাক আহমদ, জয়নাল আহমদ রানু, আলী আকবর, আজিজুর রহমান, জালাল খান, আব্দুল মালেক, মাহবুব আলম, অর্জুন ঘোষ, মনিরুল ইসলাম তুরন, আহাদ চৌধুরী শামীম, শাহীন আলম জয়, ডা. নাজিম উদ্দিন, আসাদ উদ্দিন, এডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমী, আলাউদ্দিন আলাই, নাজিম উদ্দিন পান্না, রুহেল আহমদ (চেয়ারম্যান), শামসুর রহমান সুজা, বখতিয়ার আহমদ ইমরান, সুমেল আহমদ চৌধুরী, রায়হান এইচ খান, মিনহাজ উদ্দিন চৌধুরী, জাহেদ আহমদ, শামসুর রহমান শামীম, আফতাব উদ্দিন, এডভোকেট নজরুল ইসলাম। উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য- নুরুল আমিন দুলু, ফরিদ উদ্দিন, ডাঃ এনামুল হক, আম্বিয়া চৌধুরী, পাখি মেম্বার। যুবদল নেতা আখতার আহমদ, জিএম বাপ্পী, এখলাছুর রহমান মুন্না, আমিনুল ইসলাম, এসএম পলাশ, মিজানুর রহমান, আবুল কাশেম, আনোয়ার হোসেন রাজু, রানা আহমদ। স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সৈয়দ সারোয়ার রেজা, জাহাঙ্গীর মিয়া, হাসান হাফিজুর টিটু, রায়হানুল হক। ছাত্রদল নেতা মাশরুর রাসেল, আফজাল হোসেন, আব্দুস সালম, আব্দুস সামাদ লস্কর মুনিম, জুয়েল আহমদ, মিজানুর রহমান মিজান, আজমল হোসেন অপু প্রমুখ