স্টাফ রিপোর্টার:
স্রাক মা ও শিশু ক্লিনিক এর কর্নধার কয়েছ আহমদ নিজেকে অত্র প্রতিষ্ঠানের মালিক হিসাবে পরিচয় দেন এবং তার অধীনে একজন এমবিবিএস ডাক্তার দিয়ে তার সন্তানকে নিরাপদভাবে খৎনা করানোর প্রতিশ্রম্নতি দেন। জনাব ইউনুস তার কথায় বিশ্বাস করে ছেলের খৎনার জন্য নগর ৪ হাজার টাকায় দরদাম সাব্যস্ত করেন এবং ১৮ এপ্রিল তার পুত্র সন্তান সাকিবকে মুসলমানী বা খৎনা করানোর জন্য ঐ ক্লিনিকে নিয়ে আসেন। ঐ সময় জুনায়েদ নামের একজন নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার ও রুমন ব্যানার্জি নামে আরও একজন এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ছেলের খৎনা করানোর প্রস্তুতি নেন। এ সময় ইউনুস আহমদ ডাক্তারদ্বয়কে জিজ্ঞাসা করে জানতে চান যে, খৎনার জন্য কি ধরনের ডিভাইস তারা ব্যবহার করছেন। ঐ সময় ডাক্তাররা নাম না বলে জানান, কোন চিন্তা করবেন না। আমরা উন্নতমানের ব্যথানাশক ডিভাইস ব্যবহার করছি। পরবতীর্তে আমি তাদের কথায় বিশ্বাস করে আমার ছেলের খৎনা শেষ করে তাকেসহ বাড়ীতে চলে যাই এবং তিন দিনপর আমার ছেলের ডিভাইস কাটার জন্য আবারও তাদের কাছে নিয়ে আসা হলে ডাক্তাররা ডিভাইস কেটে দিলে আমার ছেলের প্রচন্ড রক্তকরণ শুরু হয়। আমি ডাক্তারদেরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করলে তারা কোন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহন না করায় আমি আমার ছেলেকে বাড়ীতে নিয়ে যাই। বাড়ীতে যাওয়ার পর রক্তকরণ বন্ধ না হওয়ায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজে ভর্তি করি এবং কর্তৃব্যরত ডাক্তার আমাকে নানান গালমন্দ করেন এবং অভিজ্ঞ ডাক্তার ছাড়া কেন হাতুড়ি ডাক্তার দিয়ে খৎনা করালাম। আমি ডাক্তারের গালমন্দ শুনেও ছেলের জীবণ রক্ষার জন্য সহ্য করি এবং তার চিকিৎসা করাই। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনদেরকে বিষয়টি অবহতি করিলে তারা আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন।
আমি বাধ্য হয়ে শাহপরান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। থানা পুলিশ বিষয়টি সরজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযোগটি আমলে নিলেও রহস্যজনক কারণে কোন আসামীকে গ্রেফতার করেনি। এ দিকে সিলেট শহরের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ বিষয়টি আপোষে নিস্পত্তির চেস্টা করাবস্থায় আসামীরা আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়।
এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী ইউনুস আহমদ আরও জানান, আমার ছেলের অঙ্গহানির পর্যায়ে পৌছে গিয়েছিল। অনেক টাকা পয়সা খরচ করেছি। ডাক্তার বলছেন দুইমাস পর আবার তার খৎনা দিতে হবে। আমি ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের স্মরণাপন্ন হয়েছি। আমি ন্যায় বিচার চাই এবং হাতুড়ি ডাক্তারদের দ্বারা আর কোন পিতা তার সন্তানের অঙ্গহানি ঘটাতে না পারে সে জন্য হাতুড়ি ডাক্তারদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। হাতুড়ি ডাক্তার কয়েছ, জুনেদ ও রুমন ব্যানার্জির বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সিভিল সার্জনসহ বিভাগীয় পরিচালক (স্বাস্থ্য) কর্মকতার্দেরও সুদৃষ্টি কামনা করছি।
এ ব্যাপারে শাহপরান থানার ওসি হারুনুর রশিদ চৌধুরী জানান, প্রতারনার বিষয়ে অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রুজু করা হয়েছে।