স্টাফ রিপোর্টার:
সিলেট মহানগরীর আলহামরা শপিং সিটি’র চতুর্থ তলায় ‘নুরানী জুয়েলার্স’ নামক স্বর্ণের দোকানের তালা ভেঙে প্রায় ২৫০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনাকে রহস্যজনক বলছে পুলিশ।
নুরানী জুয়েলার্সের স্বত্ত্বাধিকারীর দাবি, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) ভোরে অথবা সকালে যে কোনো এক সময় এই চুরির ঘটনাটি ঘটেছে। চুরির পর চোরচক্র দোকানের ভেতরে থাকা সিসি টিভি’র ক্যামেরা ও ডিভিআর খুলে নিয়ে যায় এবং সার্টারে নতুন তালা ঝুলিয়েছে। সকাল ১১টার দিকে দোকানের মালিক—কর্মচারীরা নতুন তালা ভেঙে দোকান ঘরে ঢুকে চুরির ঘটনাটি দেখতে পান। খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জুয়েলারী দোকানের মালিক দেওয়ান মো. জাবেদ চৌধুরী জানান, চুরি হওয়া স্বর্নের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা।
তিনি বলেন, দোকানে প্রায় ২৫০ ভরি স্বর্ণালংকার ছিল। চোরেরা সব লুট করে সার্টারে ভাঙা তালা সরিয়ে নতুন তালা ঝুলিয়ে চলে যায়। দোকানের ভেতরে ডিভিআরসহ সিসিটিভি ক্যামেরা খুলে নিয়ে গেছে। অত্যন্ত সুরক্ষিত এই মার্কেটে এটাই প্রথম দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে পুলিশ শপিং মলের অন্যান্য সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে চোর শনাক্তের চেষ্টা করছে।
সিলেট মহানগর ব্যবসায়ী ঐক্য কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও আল—হামরা শপিং সিটির দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান রিপন জানান, মার্কেটে ২২জন সিকিউরিটি গার্ড দুই শিফটে ডিউটি করে। রাতে প্রতিটি তলায় ২ জন করে সিকিউরিটি গার্ড দায়িত্বে ছিলেন। চুরি হওয়া দোকানটি শপিং সিটির ৪র্থ তলায়। ওই তলায় ২টি ক্যামেরা নষ্ট পাওয়া গেছে। এছাড়া বাকি ক্যামেরাগুলো সচল ছিল। সব সিসিটিভি ক্যামেরা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় মার্কেটের কেউ জড়িত আছে কিনা সেটাও মাথায় রেখে আমরা পদক্ষেপে নিচ্ছি।
সিলেট মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক জানান, স্বর্ণের দোকানে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ যাবত সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে কারো কোন ধরনের মুভমেন্ট পাওয়া যায়নি। নিরাপত্তা প্রহরীরাও বলছে, সার্টার খুলে বেরিয়ে গেলেও শব্দ মিলতো, তাও শুনতে পাননি তারা। যে কারণে চুরির এই ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন তিনি।
এই ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। অবশ্য দোকান মালিকের মৌখিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।