স্টাফ রিপোর্টার: এ স্বপ্ন তারুণ্যের, এ স্বপ্ন জাগরণের। সিলেটবাসী দাঁড়িয়ে এমন-ই রঙ-তুলির জাগরণ দেখছে অবাক বিস্ময়ে। যে স্বপ্নের বীজ রোপণ করেছিলো এদেশের ছাত্র-জনতা। সেই ছাত্র-জনতাই এবার দেশ গড়ার কাজে মাঠে নেমেছে। কেউ-বা ট্রাফিক কন্ট্রোল করছে, কেউ-বা কাজ করছে বাজার নিয়ন্ত্রণে। পিছিয়ে নেই রঙ-তুলির প্রতিবাদও।
বিবর্ণ অতীত মুছে শিক্ষার্থী ও সাহিত্যকর্মীদের দেয়ালে দেয়ালে তারুণ্যের জাগরণের স্বপ্ন বুননের এমন-ই চিত্র চোখে পড়ে সিলেট নগরীতে। স্টেডিয়াম এলাকা, রিকাবীবাজারচৌহাট্টা সড়ক, বন্দরবাজার, মহিলা কলেজ, সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সড়কের পাশে সব দেয়াল রঙ-তুলিতে রাঙিয়ে তুলেছেন তারা। সড়কের মাঝখানেও এঁকেছেন নানা আল্পনা।
শুক্রবার দিনব্যাপী এসব চিত্রকর্ম আকতে দেখা যায়। এ কর্মযজ্ঞে অংশ নেন সিলেটে বসাবসরত বিভিন্ন বয়সের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অংশ নিয়েছেন সিলেটের সাহিত্যকর্মীরাও।
দেয়ালে দেয়ালে রঙ করে নতুন করে লিখছেন দেশ সংস্কারের নানা স্লোগান; বিভিন্ন শিল্পকর্মও আঁকছেন। এর মধ্যে রয়েছে একতাই বল, বীর বাঙালির অহঙ্কার, বাংলাদেশের মানচিত্র, সংগ্রাম, ঐক্য, দুর্নীতি, প্রাণ প্রকৃতি বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের একাধিক মুহূর্তসহ নানা বিষয়। এমন শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে সাধারণ পথচারীদের। অনেকেই দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছেন তাদের নানামুখী সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ।
শনিবার সকালে নগরীর রিকাবীবাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে শিল্পকর্মগুলো দেখছিলেন এক পথচারী। তিনি জানান, শিক্ষার্থীদের থেকেই আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। দেশটাকে সুন্দর করতে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।
চৌহাট্টা এলাকায় চিত্রকর্মে অংশ নেয়া একজন শিক্ষার্থী জানান, আমরা এখন মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পারছি। একটি নতুন দেশের স্বপ্ন দেখছি, যেখানে কোন বৈষম্য থাকবে না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শিক্ষার্থী সাধারণ মানুষ সবাই মিলে এই আন্দোলন করেছি। নগরীর দেয়ালগুলোতে নানা ধরনের দৃষ্টিকটু লেখা ছিল, যা সমীচীন নয়। তাই এসব লেখা মুছে নতুন করে রাঙানোর কাজ করছি। তুলে ধরছি আন্দোলনের নানা স্মৃতি। যাতে পথচলতি শিশু-কিশোর থেকে বয়স্ক সবাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের স্মৃতি ভুলে না যান, সেজন্য গ্রাফিতি আঁকছি।