সিলেটে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের মিছিলে হামলা ও গুলি ছোড়ার ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় আরেকটি মামলা হয়েছে। বালাগঞ্জের খুজগীরপুর গ্রামের মৃত মাহমদ আলীর ছেলে মো. আবদুস ছালাম টিপু বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। টিপু বর্তমানে নগরের লামাবাজারে বসবাস করেন। মামলায় সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও এডভোকেট রণজিৎ সরকারসহ ৪৩ জনের নামোল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ১৫০—২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) মধ্যরাত সোয়া ১২টার দিকে কোতোয়ালি থানায় দণ্ডবিধির ১৪৮/১৪৯/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩০৭/১০৯/১১৪ ধারায় এ মামলাটি রেকর্ড করা হয়। মামলা রেকর্ডের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়
সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে। এজাহারনামীয় অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মৌলভীবাজার—২ আসনের সা্বেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল (৫০), সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক বিধান কুমার সাহা (৫০) জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ—১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রঞ্জিত সরকার (৫৫), সিলেট সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েক (৪৫), জকিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান লোকমান আহমেদ ((৪৫), সিলেট সিটির ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ (৪০), সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি পিযুষ কান্তি দে (৪৫), মাহি উদ্দিন সেলিম (৫০), মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খান (৪৮), জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল ইসলাম (৩৫), সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ (২৮), মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাঈম আহমদ (৩২), নাসির উদ্দিন ওরফে জালি নাসির (৪০), ওসমানী মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম (৩০), নগরীর চালিবন্দরের রুহুল আমিন শিপলু (৩৫), জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সম্পাদক এমদাদ রহমান (৪২), মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ২০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ (৫০), মহানগর যুবলীগ সভাপতি আলম খান মুক্তি, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ ওরফে ইউনিক শামীম (৫০), মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম তুষার (৩২), মহানগর আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত (৫৫), মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান আহমদ শিপলু (৪৫), সরকারি কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি ও ৩২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুহেল আহমদ (৩৩), মোগলাবাজারের মনসুর আহমদ চৌধুরী (৩৮), সাঈদ আহমদ চৌধুরী (৩২), শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেক (৩৬) প্রমুখ।
এজাহারের ভাষ্যমতে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র—জনতার আন্দোলনে ছাত্র—জনতাকে হত্যার প্রতিবাদে ১৯ জুলাই বেলা সোয়া ২টার দিকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারের ডায়াবেটিকস হাসপাতালের প্রধান ফটক থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ মিছিল বের করার উদ্যোগ নেয়। এসময় মধুবন মার্কেটের সামনে থাকা আওয়ামী লীগ ওঅঙ্গ সংগঠনের ক্যাডাররা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঘিরে ফেলে। একপর্যায়ে আসামিরা বন্দুক, কাটা রাইফেল ও শর্টগান দিয়ে গুলি ছোড়ে। অনেকেই আহত হন। আসামির ছোড়া গুলি বাদির বাম চোখে লাগে। তিনি গুরুতর জখম অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসা নিয়েছেন। ভারতে গিয়ে চোখের অপারেশন করিয়েছেন।