সিলেটে এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচির জেলা পর্যায়ের উদ্বোধন সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শের মাহবুব মুরাদ। এক ডোজ এইচপিভি টিকা নিন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার রুখে দিন- প্রতিপাদ্যে আজ বুধবার ২৩ অক্টোবর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সচেতনতামূলক এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে বিনামূল্যে এ কার্যক্রম জেলায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সুবর্ণা সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মাহফুজা আক্তার শিমুল, সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের উপপরিচালক তপন কান্তি ঘোষ, ইউনিসেফ সিলেটের প্রধান আফরোজা ইসলাম প্রমুখ।
জেলা পর্যায়ের উদ্বোধনী সভায় বক্তাগণ বলেন, জরায়ুমুখ ক্যান্সার হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস জনিত একটি প্রাণঘাতী প্রতিরোধযোগ্য রোগ। এ রোগ বাংলাদেশের নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুতে দ্বিতীয়। অতিরিক্ত সাদা স্রাব, দুর্গন্ধযুক্ত স্রাব, অনিয়মিত রক্তস্রাব, শারীরিক মিলনের পর রক্তপাত, মাসিক বন্ধ হওয়ার পর পুনরায় রক্তপাত, কোমর, তলপেট, উরুতে ব্যথা এ রোগের প্রধান লক্ষণ। বাল্য বিবাহ, ঘন-ঘন সন্তান প্রসব, ধূমপায়ী, এইডস রোগী, প্রজনন স্বাস্থ্য এবং পরিচ্ছন্নতা সম্পর্কে সচেতন নন- এমন নারীরা এ রোগের ঝুঁকিতে থাকেন।
কিশোরী বয়সে এইচপিভি টিকা নিলে নারীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধ করা যায়। কিশোরীদের জরায়ুমুখ ক্যান্সার প্রতিরোধে এইচপিভি টিকা একটি খুবই ভালো প্রতিরোধক। এ বিষয়টি অনুধাবন করে সরকার আগামী ২৪ অক্টোবর ২০২৪ বিনামূল্যে ৫ম থেকে ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া কিশোরীদের এ টিকা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এছাড়াও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহির্ভূত ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী কিশোরীদেরকেও নিকটস্থ টিকা কেন্দ্রসমূহে এ টিকা প্রদান করা হবে। টিকা গ্রহণ থেকে কেউ যাতে বাদ না পড়েন সে বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে তাঁরা বলেন, এ টিকা জরায়ুমুখ ক্যানসার প্রতিরোধে খুবই কার্যকর এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত। এর কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই।
এ বিষয়ে কোন গুজবে কান না দিয়ে সঠিক তথ্যের জন্য সিভিল সার্জনের কার্যালয় অথবা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির সাথে যোগাযোগের অনুরোধ করেছেন সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী।