নিউজ ডেস্ক :: সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলী এলাকায় হাসান মিয়া (১৫) নামে এক কিশোরের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ২৪ ঘন্টার মাথায় হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এ ঘটনার সাথে জড়িত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাসান মিয়াকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সিলেটের জালালাবাদ থানর কান্দিগাঁও পশ্চিম দর্শা এলাকার সিরাজ মিয়া ছেলে মো. তারেক মিয়া, দক্ষিন সুরমা থানার কামাল বাজার গুপ্তেরগাঁও এলাকার লাল মিয়ার ছেলে রুবেল মিয়া, হবিগঞ্জ জেলার লাখাই কামড়াপুর এলাকার জহির মিয়া ছেলে পাবেল মিয়া, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ শিবপাশা এলাকার রাজধর মিয়ার ছেলে রিপলু মিয়া।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২৬ মে দক্ষিণ সুরমা থানায় দায়ের করা একটি সাধারণ ডায়রির সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডে জড়িত চারজনকে বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা গত ২৫ মে দুপুরে নিহত হাসান মিয়ার অটোরিকশা ভাড়া নিতে চাইলে সে অপারগতা জানায়। যার ফলে তার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে সেদিন রাতেই তাকে ডেকে নিয়ে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পরে খড় দিয়ে মৃতদেহটিকে ঢেকে দিয়ে, অটোরিকশাটি ভাঙ্গারি দোকানে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করে।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
উল্লেখ, গত ২ জুন সিলেটের দক্ষিণ সুরমার তেতলী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বিল্ডিং এর ভিতরে ধানের খড় দিয়ে ঢাকা অবস্থায় একটি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ। লাশটি পুরোপুরি পচে যাওয়ায় শুধুমাত্র কঙ্কাল দেখে পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। লাশের সাথে থাকা পায়ের স্যান্ডেল, গেঞ্জি, জিন্সের প্যান্ট এবং গলায় পেচাঁনো বেল্ট দেখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পাওয়া মৃতের পিতা মো. মাসুক মিয়া মৃতদেহটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন। হাসান নিখোঁজের ব্যাপারে গত ২৬ মে দক্ষিণ সুরমার সাধারণ ডায়েরি করেন তার মামা মো. কলিম উদ্দিন। এই সাধারণ ডায়রির সূত্র ধরে হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।