নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে রোবাবার (১১ জুন) সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি ছিলো। ভোর থেকে শুরু হয় গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি। বেলা এগারোটার দিকে বৃষ্টি কিছুটা থামলেও এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ছিন্নমূল মানুষ, পথচারী, কর্মজীবীসহ সব শ্রেণির মানুষেরা। বৃষ্টি উপেক্ষা করে চাকরিজীবীদের সকালে অফিসে যেতে দেখা গেছে।
সকালে সাড়ে নয়টার দিকে নগরীর ব্যস্ততম এলাকায় চৌহাট্টা, জিন্দাবাজারসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বৃষ্টির কারণে রাস্তায় মানুষ ও যানবাহনের সংখ্যা ছিল তুলনামূলক কম। কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হওয়া মানুষরা ভোগান্তি নিয়ে কর্মস্থলে রওনা দেন।
এদিকে, আজও সিলেট বিভাগে মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। রোববার (১১ জুন) সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বরিশাল, চট্টগ্রাম, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসাথে সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এর আগে, আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে সতর্ক সংকেত নামিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।
আগামী পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু দেশের অবশিষ্টাংশ বিস্তার লাভ করতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়।