স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর সিলেটসহ সারাদেশে পুলিশের অনুপস্থিতে ট্রাফিক নিয়ন্ত্রনের দায়িত্ব পালন করছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোনের সমন্বয়ক ও স্কাউট এবং বিএনসিসির সদস্যরা। এবার ট্রাফিক পুলিশ কাজে ফেরায় অবস্থার অবসান হচ্ছে। সিলেটের রাস্তায় দায়িত্বে ট্রাফিক।
পুলিশ। সিলেটের সড়কে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। সোমবার (১২ আগষ্ট) থেকে তারা কাজে যোগ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সিলেটের বন্দরবাজার পয়েন্টের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মো: আজাদ হোসেন খান বলেন ট্রাফিক ব্যবস্থাকে সর্বোচ্চ সাবলিল করার জন্য যা যা সেবা করণীয় আমাদের মাননীয় কমিশনার মহোদয় এবং ডিসি মহোদয় সর্বত্র ব্যবস্থা নিয়েছেন। এবং তারই অনুসৃতিতে প্রত্যেকটি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমাদের ট্রাফিক ব্যবস্থা বর্তমানে একেবারে ১০০% কন্টিনিউ কাজ করছি আমরা। একেবারে সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট ব্যতিত ছাড়া ট্রাফিক ব্যবস্থার বাইরে নেই।
সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে আমরা ডিউটি করছি। এতদিন যে কোন একটা ক্রাইসিসের কারণে শিক্ষার্থীরা ট্রাফিক সিস্টেম মেইনটেইন করছেন, তারা প্রফেশনাল ছিলেন না। যার কারণে তাদের কিছু গ্যাপ ছিল। কিন্তু তারা আন্তরিক ছিল, আন্তরিকতার কোন ঘাটতি ছিল না।এ ই ক্রাইসিসের সময় তারা এত বড় একটা দায়িত্ব পালন করেছে তার জন্য তারা প্রশংসার দাবিদার, অনেক বড় একটা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন। তার জন্য তাদের প্রশংসা করছি। এবং তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ট্রাফিক ইন্সপেক্টর মোঃ এমদাদুল হক বলেন সোমবার সকাল থেকেই কাজে যোগ দেন ট্রাফিক সদস্যরা, সিলেটের সব কয়টি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ট্রাফিক সদস্যরা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা বলেছেন আমরা ,ট্রাফিক পুলিশ কাজে নামলে সঠিকভাবে কাজ করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা এবং আমরা অবশ্যই আমাদের পড়াশোনা করতে হবে। তারা সঠিকভাবে কাজ করলে আমরা চলে যাব।
সাধারণ জনগণ বলেন সকাল থেকেই সড়কে দেখা গেছে তাদের। ট্রাফিক পুলিশের সাথে স্কাউট এবং বিএনসিসির সদস্যদেরও অনেক স্থানে কাজ করতে দেখা গেছে। শিক্ষার্থীরা অনেক পরিশ্রম করেছেন দায়িত্ব নিয়ে অনেক বড় কাজ করেছেন। অবশ্যই সেটি মনে রাখতে হবে। শিক্ষার্থীরা ট্রাফিকের উদ্দেশ্যে বলেছেন তারা যেন সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন, এটাই আমরা চাই। আমার আমাদের পরিবারের বাসায় ফিরে যাব হয়তো আরও ৪-৫ দিন লাগবে। ওদের ভিতরে যাতে কোন ভয়-ভীতি না থাকে। যা হবার হয়েছে ভুল ত্রুটি সবার মধ্যে থাকে। নিজ নিজ স্থান থেকে এখন আমাদের চিন্তা করা উচিত দেশকে কীভাবে সুন্দর করা যায়। সেই লক্ষে কাজ করার উচিৎ এই প্রত্যাশা করি।