নিউজ ডেস্ক :: সিলেটে নাট্যাভিনেত্রী সনিয়া আক্তার হত্যার ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। এ ঘটনায় কাউকে আটকও করতে পারেনি পুলিশ। তারা বলছে, ঘটনার বিষয়ে তদন্ত চলছে, জড়িতদের ধরতে চলছে অভিযান।
সনিয়া আক্তার (২১) সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলার শীতল জোড়া গ্রামের বিলাল আহমদের মেয়ে। গতকাল রোববার দুপুরে সিলেট নগরীর খুলিয়াটুলা এলাকায় জহুর আলীর বাসা থেকে সনিয়ার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি দক্ষিণ সুরমা নূরজাহান মেমোরিয়াল মহিলা কলেজে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে তৈরি হওয়া নাটকে অভিনয় করতেন।
জানতে চাইলে সিলেট মহানগরীর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহম্মদ আলী মাহমুদ বলেন, ‘সনিয়া আক্তারের মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ কাউকে আটকও করেনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের তদন্ত ও অভিযান চলছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের সনাক্ত করা হয়েছে কিনা, তা তদন্তের চলাকালে বলা যাচ্ছে না।’
পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খুলিয়াটুলার ওই বাসার চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন সনিয়া আক্তার। তার সৎ বাবা সেলিম মিয়া অসুস্থ হয়ে ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তাকে নিয়ে পরিবারের অন্য সদস্যরা ব্যস্ত ছিলেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ছিলেন সনিয়ার মা অমিতা বেগম ও ভাই পারভেজ আহমদ। বাসায় সনিয়া ছাড়াও ছিলেন তার ভাবি ফারিয়া বেগম ও মামাতো ভাই সজিব। তবে সজিব সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সনিয়ার মা অমিতা বেগমকে ফোন করে বাড়ি চলে যাচ্ছেন বলে জানান। সজিবের গ্রামের বাড়ি হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার নবীনগর গ্রামে।
দুপুর ১২টার দিকে সনিয়ার কক্ষে গিয়ে তার রক্তাক্ত মরদেহ খাটের ওপর দেখতে পান ফারিয়া বেগম। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ক্রাইম সিন ইউনিট ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি দল ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনাস্থল থেকে একটি রক্তমাখা কাঁচি উদ্ধার করা হয়।
সনিয়ার মা অমিতা বেগমের দাবি, সনিয়াকে হত্যা করে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে হত্যাকারী। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়েছে, তা তার বোধগম্য নয়।
পুলিশের একটি সূত্র বলছে, সনিয়া হত্যায় সজিবের দিকে সন্দেহের তীর রয়েছে। তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। তাকে ধরতে অভিযান চলছে পুলিশের।সূত্র:সিলেটভিউ