শ্রীমঙ্গল (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:
প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব মোঃ সিরাজ উদ্দিন মিয়া বলেছেন, ‘শ্রীমঙ্গলসহ মৌলভীবাজরের বৈচিত্র্য প্রশংসনীয়। এই বৈচিত্র্য নিয়েই আমাদের বসবাস করতে হবে। আমাদের নানান পরিচয় আছে, সংস্কৃতি ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমরা একই ভূখন্ডের বাসিন্দা। শ্রীমঙ্গলের ঐতিহ্যের মধ্যে যে ঐক্য, এটা বোধয় বাংলাদেশের অন্য কোথাও নাই। এটাই শ্রীমঙ্গলের বিশেষত্ব। ‘উৎসবমূখর বাংলাদেশের জন্য এই আয়োজন একটি সূচনা হতে পারে এখান থেকে। শুক্রবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলের কাকিয়াছড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড এর উদ্যোগে পর্যটন শিল্পকে বিকশিত করতে প্রথমবারের মতো তিন দিনব্যাপী ‘হারমোনি ফেস্টিভ্যাল’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ‘এখানে প্রবেশের সময় বিভিন্ন নৃ—জাতী গোষ্টির মানুষের মধ্যে যে হাসিমাখা মুখ দেখলাম, বিশ^াস করি সেই হাসিমুখ তাদের মধ্যে থাকবে এবং এই হাসিমুখ চিরস্থায়ী হবে। শ্রীমঙ্গলসহ সিলেট বিভাগ পর্যটনের জন্য একটা আকর্ষনীয় অঞ্চল। এখানে পাহাড়, হাওড়, জলাভূমি, বৃক্ষরাজী, বন, চা বাগানসহ অনেক বৈচিত্র্যের সমাহার আছে। এটা বাংলাদেশের অন্য অঞ্চলে নাই। এখানের প্রকৃতি অপরুপ সাজে সাজিয়েছে। এছাড়া এখানকার মানুষের মধ্যে যে বৈচিত্র্য এবং প্রকৃতির মাঝে যে বৈচিত্র্য, এটার একটা মেলবন্ধন করা যেতে পারলে পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনা হয়ে ওঠবে।’
‘আমাদের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস ৫ আগস্টের পর জাতির একটা ক্লান্তিলগ্নে দেশ ও জাতির হাল ধরেছেন। তিনি বরাবরই বলেন, এমন একটা বাংলাদেশ দেখতে চান, যেখানে দেশের মানুষেরা হাসিমুখে থাকবে। আগামীর বাংলাদেশ বিষাদের নয়, একটা উৎসবমূখর বাংলাদেশ হবে, দেশের মানুষ সব সময় উৎসবে আনন্দে থাকবে।’
বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তাহের মুহাম্মদ জাবের এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয়ের সচিব মিজ নাসরীন জাহান, সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) খান মোঃ রেজা—উন—নবী, এসএমই ফাউন্ডেশন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। এছাড়া অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন— মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মোঃ ইসরাইল হোসেন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের সুদর্শন কুমার রায়।
মেলায় স্থানীয় বিভিন্ন ক্ষুদ্র নৃ—গোষ্ঠীর বিভিন্ন উপকরণ প্রদর্শনীসহ এ অঞ্চলের তাদের ঐতিহ্যবাহী সুস্বাদু খাবারের ৫০টি স্টলের পাশাপাশি প্রায় ২৬টি ক্ষুদ্র নৃ—গোষ্ঠীর নিজস্ব সংস্কৃতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়। অতিথিরা তাদের বর্ণিল জীবন ও সংস্কৃতির প্রথম দিনের আয়োজন রাত পর্যন্ত উপভোগ করেন। বৈচিত্র্যের এই মেলবন্ধনের উৎসবটি চলবে আগামি রোববার রাত আটটা পর্যন্ত।