হাওরাঞ্চলের কথা :: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মো. রেজাউল করিম পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আদর্শ ছাড়া অন্য আদর্শ গ্রহণ করে কিংবা অন্য আদর্শের দিকে লোকদের আহবান করে, নিশ্চয়ই তারা পথভ্রষ্ট। এজন্য সকল মুসলমানের উচিত রাসুল (সা.) কে নেতা হিসেবে মেনে নেওয়া এবং রাসুলের যারা উত্তরসুরী তাদের নির্দেশনা অনুসারে রাসুলের (সা.) এর আদর্শ ও সুন্নতের উপর পরিপূর্ণ ভাবে আমল উচিত। তিনি বলেন ইসলামী ও ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে ছাত্রছাত্রীরা বিপদগামী হচ্ছে। ধর্মীয় শিক্ষার অভাবে অনেক মানুষ অনৈতিক কাজে জড়িয়ে পড়ছে। ইসলামী ও নৈতিক শিক্ষার অভাবে সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। সামাজিক অবক্ষয়ের মারাত্মক অবনতির ফলে নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে যুব সমাজ। এতে দিন দিন বেড়েই চলেছে অমানবিকতা, নীতি-নৈতিকতা, মূল্যবোধ, ধর্মীয় শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষার অভাবে এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে মনে করেন। আমাদের দেশে রাষ্ট্রীয়ভাবে মূল্যবোধ চর্চার কোনো ব্যবস্থা নেই। ব্যক্তি জীবনে যতটুকু ইসলাম আছে তাও ধ্বংস করার চক্রান্ত চলছে। স্কুল থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত কোথাও ইসলামী শিক্ষার বাধ্যাতামূলক করতে হবে। পীর সাহেব চরমোনাই আরও বলেন ইসলাম ও দেশের বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে নাস্তিক বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র নিয়ে শিক্ষা সিলেবাসে আমূল পরিবর্তন আনা হয়েছে। ইসলামী শিক্ষাকে সিলেবাস থেকে বিতাড়ন করা হয়েছে। ডারউইনের নাস্তিক্যবাদী শিক্ষা সিলেবাসে সংযোজন করে ছাত্রছাত্রীদেরকে নাস্তিক বানানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি ইসলামবিরোধী যেকোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত থেকে সরকারকে ফিরে আসার আহ্বান জানান, অন্যথায় দেশের জনগন নিয়ে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে ইনশাআল্লাহ। সিলেট আলীয়া মাদ্রাসার মাঠের বাংলাদেশ মুজাহিদ কমিটি সিলেট বিভাগ কতৃক আয়োজিত ৩ দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিলের সমাপনি দিবস আজ ১৮ই জানুয়ারী বুধবার বাদ ফযর আখেরী মুনাজেতের পূর্বে মুসল্লিগনের উদ্দেশ্যের পীর সাহেব চরমোনাই উপরোক্ত কথা গুলো বলেন। ৩ দিন ব্যাপি ওয়াজ মাহফিলে বিশেষ অতিথি হিসাবে বয়ান পেশ করছেন মুফতী সৈয়দ মো. ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই, ডা. মুশতাক আহমদ সাহেব, হযরত মাওলানা মুফতী ওমর ফারুক সন্দীপী, হাফিজ মাওলানা ইউনুস আহমদ, মাওলানা নুরু হুদা ফয়েজি, মাওলানা খালিদ সাইফুল্লা, মাওলানা মমতাজ উদ্দিন বড়দেশী,হযরত মাওলানা আহামদ আলী, মুফতী রেজাউল করীম আবরার প্রমুখ।