স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রকাশ্য দিবালোকে প্রবাসীর বাড়িতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় এখনও মামলা নেয়নি পুলিশ কিংবা ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে গ্রেফতারও করতে আগ্রহ দেখায়নি শাল্লা থানা পুলিশ। ঘটনাটি ঘটে গত বুধবার দুপুর ২ ঘটিকার সময় উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ভাটগাও গ্রামের প্রবাসী আমির হোসেনের বাড়ীতে।
স্থানীয় সুত্র জানায়, ভাটগাও গ্রামের আমির হোসেন ও তার স্ত্রী দীর্ঘ বছর ধরে প্রবাসে থাকেন এবং তার ভাই আবুল হোসেন সিলেট শহরে ব্যবসা বানিজ্যের কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাদের গ্রামের বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে প্রবাসী আমির হোসেন এর সাথে দুলাল মিয়া ও সাদ্দেক মিয়ার পরিবারের মনোমালিন্য ও শত্রুুতা চলে আসছে। তারই জের ধরে প্রবাসী আমির হোসেনের বাড়ীতে পুর্ব পরিকল্পিভাবে দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রসহ দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে একদল ভুক্ত সন্ত্রাসী ও ডাকাত প্রকৃতির লোক বাড়ী ঘরে হামলা চালায় এবং ঐ সময় দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রের ভয় দেখাইলে বাড়ীতে থাকা মহিলা ও শিশুরা জীবন বাচাঁতে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় বাড়ীতে দুলাল মিয়ার নেতৃত্বে হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের তান্ডব লীলা চালিয়ে প্রায় সাড়ে নয় লাখ টাকার ক্ষতি সাধন করে। তম্মধ্যে বাড়ীঘর ভাংচুর বাবদ দেড় লক্ষ টাকার ক্ষতি সাধন, বসত ঘরের স্ট্রিলের আলমিরার তালা ভেঙ্গে রক্ষিত নগদ দুই লক্ষ আশি হাজার টাকা ও চার ভরি ওজনের স্বর্ণলংকার লুট বাবদ ৫ লক্ষ ২০ হাজার টাকা।
মামলায় আসামী করা হয়েছে যাদের ভাটগাও গ্রামের ১। সাইদুল মিয়া (৪৮) ২। সাদ্দেক মিয়া (৫২) উভয় পিতা— মৃত আজিম উল্লা ৩। মারুফ মিয়া (২৮) ৪। সারুফ মিয়া (২৬) ৫। সামরুপ মিয়া (২৪) সর্বপিতা— সাদ্দেক মিয়া ৬। দুলাল মিয়া (৫৫) ৭। আলীম উদ্দিন (৫২) উভয় পিতা— মৃত রহমত আলী ৮। মুছা মিয়া (৩০) ৯। পাশা মিয়া (২২), উভয় পিতা— দুলাল মিয়া ১০। আবাল মিয়া (৫৮) পিতা— মৃত ওহাব আলী ১১। হাবিল মিয়া (৩০) ১২। জাকির মিয়া (২৭) উভয় পিতা— আবাল মিয়া ১৩। আলা উদ্দিন (৩২) পিতা— জয়নাল মিয়া ১৪। শফিকুল মিয়া (৩০) পিতা— ইব্রাহিম মিয়া ১৫। মালফু মিয়া (৩২) পিতা— মৃত আঃ কাইয়ুম প্রমুখ। মামলার বাদী আবুল হোসেন জানান, আমার বাড়ীতে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট করার কারণে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। এখন পর্যন্ত আমার মামলাটি আমলে নেয়নি কিংবা কোন আসামীকেও গ্রেফতার করতে যায়নি পুলিশ। আমি ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে শাল্লা থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, একই ঘটনায় চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। সেজন্য মামলা নিতে পারি নাই। তবে বিষয়টি আমি গত এক মাস ধরে পর্যবেক্ষন করে আসছি। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একটি এজাহার দেয়ার জন্য আমি তাদেরকে জানিয়েছি। সবাই ঐকবদ্ধভাবে না আসলে কি মামলা নেয়া যাবে না প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনায় মামলায় ভাল ফলাফল পাবে না। তাই তাদেরকে বলছি ঐক্যবদ্ধভাবে একটি এজাহার দেয়ার জন্য। তবে প্রবাসীর পরিবার যদি মামলা করতে চায় তাদেরকে থানায় পাঠান। আমরা মামলা নিব।আসামিদের গ্রেফতার করা হবে।