বিশেষ প্রতিনিধি:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. আব্দুল মোমেন বলেছেন, কিছু লোক যারা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম পছন্দ করে না, যারা সন্ত্রাস পছন্দ করেন কিংবা অন্য ধরনের ড্রাগ পছন্দ করেন তারাই র্যাবকে অপছন্দ করে। কারণ র্যাবের সদস্যরা তাদের বিরুদ্ধেও কাজ করেছে। এটা খুবই দুঃখজনক।
আমরা তাদের জানাবো, হয়তো ঠিক মতো তাদের জানাতে পারিনি। কারণ অনেকে একতরফাভাবে তথ্য পেয়েছে। যারা ওদেরকে পছন্দ করে না। সব দেশেই ল এন্ড ফোস বিং এজেন্সিতে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেরও কিছু হয়েছে। আগে বেশি ছিলো এখন খুব কম হয়েছে। যখনই একটা মৃত্যু হয় তখন জুডিশিয়াল প্রসেজে সেটির তদন্ত করা হয়। ওরা বলেছে গত ১০ বছরে ছয়শত জন মিসিং হয়েছে। আমেরিকাতে প্রতিবছর এক লক্ষ লোক মিসিং হয়। তো এর দায়দায়িত্ব কে নেবে ? আর আমাদের দেশে মিসিং যারা হয় পরবর্তীতে দেখা যায় আবার তারা বের হয়ে আসছে। র্যাবের কোন দোষ থাকলে তাদের প্রশিক্ষন দিয়ে সুধরানোর দায়িত্ব আমেরিকারই।
আর এসব তথ্য যাচাই বাচাই না করে বড় বড় বিদেশী রাষ্ট্রগুলো না জেনে অভিযোগ করে। যারা অভিযোগ করেছে আমি তাদের আহবান করি। বলি আসেন, দেখেন, লোকজনের সাথে কথা বলেন, সত্য ঘটনা উদ্বঘাটন করুন। তারপর আপনারা সিদ্ধান্ত নেন।
শুক্রবার দুপুরে সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদীপুর ছয়হারা ইসলামিয়া আরবিয়া মাদ্রাসা, সৈয়দ মনোহর আলী অষ্টগ্রাম মহাবিদ্যালয়, শিরিলব চৌধুরী চাইল্ড কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শনকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেনের সহধর্মিণী, যুক্তরাজ্যের ব্যবসা, পর্যটন ও বন্দরমন্ত্রী ভিজয় দারিয়ানানি, সুনামগঞ্জ সিলেটের সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য অ্যাড. শামীমা খানম, যুক্তরাজ্যের এমপি টম হান্ট, যুক্তরাজ্য প্রবাসী জেডআই ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জিল্লুর হোসাইন, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার এম এনামুল কবির ইমন প্রমুখ।