বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ২০১৫ সালে দায়ের করা একটি রাজনৈতিক মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন
সিলেট বিএনপি ও অঙ্গ—সংঠনের ৩১ জন নেতাকর্মী। রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন সিলেটের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজেস্ট্রট ১ম আদালতের বিজ্ঞ বিচার সুমন ভুঁইয়া।
বিষয়টি কে নিশ্চিত করেছেন আসামি পক্ষের আইনজীবী টিমের সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মুকিত অপি।
খালাস পাওয়া নেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন— ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা— কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সহ—স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ—সভাপতি অ্যাডভোকেট সামছুজ্জামান জামান, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব চৌধুরী, সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যসচিব শাকিল মুর্শেদ এবং সিলেট মহানগর বিএনপি নেতা ও ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ—সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল করিম নাচন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালে দেশব্যাপী বিএনপির অবরোধ আন্দোলন চলাকালে সিলেটের কোতোয়ালি থানায় পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে এ মামলাটি দায়ের করেছিল।
রায় ঘোষণার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি নেতা মাহবুব চৌধুরী বলেন— ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বিচার বিভাগ থেকে অনেক অবিচার হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা এই মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ ৯ বছর আমাদের হয়রানির করা হয়েছে।
তিনি বলেন— বিচার বিভাগ থেকে যেন আর কোনো অবিচার না হয়। নতুন প্রজন্ম আর কথার ফুলঝুরি শুনতে চায় না, তাই নতুন ধারার রাজনীতি ও সরকার প্রতিষ্ঠার লড়াই জারি রাখতে হবে। কেউ হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করে দেবে, আর কেউ দুই বেলা খেতে পারবে না— এই বৈষম্যের রাজনীতি বিএনপি আর চলতে দিবে না। প্রত্যেকে তার সামর্থ অনুযায়ী ব্যবসা করবে ও মেধার ভিত্তিতে চাকরি করবে। এই রকম একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করাটাই আমাদের লক্ষ্য।
একটি গণতান্ত্রিক, সাম্য ও মানবিক মর্যাদার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারলেই জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের রক্ত এবং আত্মত্যাগের প্রকৃত মর্যাদা দেওয়া হবে বলে মন্তব্য করেন মাহবুব চৌধুরী।