1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
গোলাপগঞ্জের হামলার ঘটনায় এসপি মান্নান কারাগারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই মালামাল জব্দ সিলেট বিভাগে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের ওসি এখনো বহাল থেকেইে দায়িত্ব পালন সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের তালিকা চুড়ান্ত ধর্মপাশায় বিশেষ অভিযানে ১৯ টি ভারতীয় গরু সহ গ্রেপ্তার ৫ সুনামগঞ্জে নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ছাতকে ইউকে প্রবাসী ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ সম্পন্ন নৌপথে চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন ভুক্তভোগীর অভিযোগ আইফোন গিফট পেয়ে ছাত্রদল নেতাকে গ্রেফতার করেন এসপি আনোয়ার হোসেন শাহ আরেফিন টিলা থেকে কোটি কোটি টাকার পাথর লুটের মহোৎসব

ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা —জেলা প্রশাসক

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৪১ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ ‘সাদাপাথর’ পর্যটন কেন্দ্রের মতো প্রকৃতি কন্যা জাফলংয়ে চলছে পাথর লুট। জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে গত কয়েক মাস ধরে প্রতিদিন শত শত নৌকায় কোটি কোটি টাকার পাথর হরিলুট করা হয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। কোন অভিযান, জরিমানা, মামলা কিছুই থামাতে পারছেনা লুটপাটকারীদের। লুটপাটের রাস্তা বন্ধ করতে গিয়ে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে সংশ্লিষ্টদের। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে একটি পাথরও থাকবে না জাফলংয়ে।
ইতিপূর্বে সেনাবাহিনী জাফলং ও ভোলাগঞ্জের পাথরগুলো নজরদারি করেছিলেন। সেনাবাহিনী ও ছাত্র—জনতা উক্ত পর্যটন কেন্দ্রের পাথর রক্ষায় মাইকিং করে পাথর লুট রোধে কাজ করায় কিছুদিন লুটপাট বন্ধ ছিল। কিন্তু ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কিছুদিন পর পাল্টে যায় সবকিছু। বেপরোয়া হয়ে উঠে পাথর লুটপাটকারী চক্র। জাফলং জিরো লাইন থেকে সেনাবাহিনী চলে গেলে শুরু হয় তাদের লুটযজ্ঞ। বেসামাল এই পরিস্থিতি সামাল দিতে জাফলংয়ের পাথর রক্ষায় কয়েক সপ্তাহের জন্য নিয়োগ করা হয় দুজন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্ব একটি ক্যাম্প। কিন্তু ক্যম্পটির কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়ার পর আবারও চলছে পাথর লুট।
স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনা দেশত্যাগের পর সীমান্তঘেঁষা সাদাপাথর ও জাফলং পাথর কোয়ারি থেকে পাথর লুট করতে নামে বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। একইভাবে ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর কেন্দ্রেও চলে লুটপাট। সেখানে ছাত্র—জনতা লুটেরাদের তাড়িয়ে দেওয়ার পর সেনাসদস্যরা অবস্থান নেন। কিন্তু জাফলংয়ে তখনও চলছিল বাধাহীন লুটপাট।
জানা যায়, দুটি পর্যটন কেন্দ্রই পাথর কোয়ারি এলাকায়। সীমান্তঘেঁষা সাদা পাথর ও জাফলং পর্যটন কেন্দ্রে স্তূপ আকারে পাথর জমে উঠেছে। সেখানকার পাথরই পর্যটকদের প্রধান আকর্ষণ।
জাফলংয়ের বাসিন্দা আলাছ উদ্দিন জানান, কয়েক মাসে হিসাব ছাড়া পাথর লুট হয়েছে। কোন ভাবেই তাদেরকে দমিয়ে রাখা যাচ্ছেনা। পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কঠোরপদক্ষেপ না নেয়ায় পাথর লুটে উৎসাহিত হচ্ছে সিন্ডিকেট চক্রের সদস্যরা।
স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে, জাফলং জিরো পয়েন্টের পাথর প্রকাশ্যে হরিলুটের বিষয়ে প্রতিদিন বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া, অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও টেলিভিশনে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। কিন্তু জেলা ও উপজেলা প্রশাসন নিরব।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) সাইদুল ইসলাম জানান, জাফলং জিরো লাইনের পাথর রক্ষায় একাধিকবার অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। পাশাপাশি পাথর লুটপাটকারীদের উপর মামলাও হয়েছে। তবুও পাথর চুরি বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। এ ছাড়াও পাথর লুট করে নিয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ করার জন্য দেয়াল নির্মাণ করতে গেলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টদের লাঞ্ছিত করেছে পাথর লুটকারীরা।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক শের মাহবুব মুরাদ জানান, ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর ও জাফলং পাথর কোয়ারীগুলো ইজারা দেয়া বন্ধ রয়েছে। পর্যটকরা এর সৌন্দর্য উপভোগ করতে হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করছে। টুরিষ্ট পুলিশ সব সময় দায়িত্ব পালন করছে। পাথর লুটপাট বন্ধ করতে বার বার অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা পাথর লুটের সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে মামলাও দেয়া হচ্ছে। বর্তমানে বা ভবিষ্যতে যারা পাথর লুটের সাথে জড়িত থাকার তথ্য প্রমান পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই রাষ্ট্রীয় সম্পদ লু›ঠনের অভিযোগ মামলা রুজু করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন