নিউজ ডেস্ক :: হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে গত দুই-তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে বোরো খেতসহ ফসলের জমিতে। এতে করে ফসলি জমিতে সবুজে সমারোহের মাঝে সজীবতা ও উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। বোরো ধান তথা মাঠের ফসলের জন্য এই মুহূর্তে বৃষ্টির খুবই প্রয়োজন ছিল।
উপজেলার কৃষকেরা বোরো চাষের উপর নির্ভরশীল। খেতের অন্যতম উপকরণ হলো সেচ দেয়া। যা বৃষ্টির ফলে পাওয়া গেছে। উচ্ছ্বাসিত উপজেলার প্রান্তিক কৃষকেরা।
এদিকে বৃষ্টি না হওয়াতে বোরো খেতসহ অন্যান্য ফসলের জমিতে পোকা-মাকড়ের আক্রমণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বৃষ্টি হওয়ায় ফসলি জমির বিভিন্ন রকম ক্ষতিকারক পোকা-মাকড় থেকে রক্ষা পাবে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে বোরো আবাদ হয়েছে ১১ হাজার হেক্টর জমিতে।
কাচুয়া এলাকার কৃষক জসিম উদ্দিন বলেন, এ বছর শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় বোরো খেত শুকিয়ে গেছে। পর্যাপ্ত পানি না পাওয়ায় বোরো ধানের অঙ্কুর বৃদ্ধি পাচ্ছে না। বৃষ্টি হওয়ায় বোরো ধানের অঙ্কুর বৃদ্ধি ও ফসলের জন্য ভালো হয়েছে।
রাণীরকোট এলাকার কৃষক শ্রীবাস চন্দ্র দেবনাথ বলেন, বোরো খেত শুকিয়ে থাকায় প্রতিদিন বোরো জমিতে পানি দেওয়া লাগে। বৃষ্টি হওয়াতে একটু স্বস্তি পেলাম। আশা করছি এবার বোরো ধানের ভালো ফলন হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মাহিদুল ইসলাম বলেন, হঠাৎ করে বৃষ্টি হওয়ায় বোরো খেতসহ অন্যান্য কৃষি জমির ভালো ফলনের আশা করা হচ্ছে। সেই সাথে বৃষ্টি আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। এছাড়া আম, কাঁঠাল দ্রুত বাড়বে এবং ঝড়ে পড়া বন্ধ হবে।