উৎফল বড়ুয়া :: প্রবাসীদের নতুন প্রজন্মকে দেশের প্রতি আকৃষ্ট করতে দেশের অর্জনসমূহ তাদের কাছে তুলে ধরতে হবে : প্রেসিডেন্ট, বিবিসিসিআই
বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই) এর নবনির্বাচিত সভাপতি সাইদুর রহমান রেনু বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন অভূতপূর্ব। এখনকার বাংলাদেশ আর আগের বাংলাদেশের মধ্যে তফাৎ স্পষ্ট দৃশ্যমান। বাংলাদেশের এ উন্নয়ন বহির্বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে হবে।
গত ১২ জানুয়ারি ২০২৩ চেম্বার কনফারেন্স হলে দি সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র উদ্যোগে বৃটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্সের প্রতিনিধিবৃন্দের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় বিবিসিসিআই এর সভাপতি আরো বলেন, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত আমাদের নতুন প্রজন্ম অনেক স্মার্ট। তারা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বড় বড় কোম্পানীতে কাজ করে। তাদেরকে বাংলাদেশের প্রতি উৎসাহিত করতে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের সংবাদ মিডিয়াগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে, দেশের অর্জন সমূহকে আন্তর্জাতিক মহলে তুলে ধরতে হবে। তিনি উল্লেখ করেন বিবিসিসিআই ও সিলেট চেম্বার অতীতে সফলভাবে এনআরবি উইক পালন করেছে। আমাদেরকে এরকম কর্মসূচী অব্যাহত রাখতে হবে, যাতে সিলেটকে আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে সুন্দরভাবে তুলে ধরা যায়। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ থেকে ইউকেতে মসলা জাতীয় পণ্য, তৈরী পোষাক, শাক-সবজি ইত্যাদি রপ্তানি বৃদ্ধির আহবান জানান।
সভায় বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশ ইউকের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে আমাদেরকে যোগযোগ বৃদ্ধি করতে হবে। নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশী ও প্রবাসীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরী করে দিতে হবে। বক্তাগণ বিবিসিসিআই ও সিলেট চেম্বারের সদস্যদের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য চালুকরণ, দুইটি চেম্বারের উদ্যোগে ইয়াং এন্ট্রিপ্রিনিয়ার্স সামিট আয়োজন, দেশের বৈদেশিক মূদ্রার সংকট কাটাতে ব্যাংকিং এর মাধ্যমে অর্থ প্রেরণ, বাংলাদেশে উন্নতমানের হসপিটাল গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনে ইউকে থেকে টেকনিক্যাল সাপোর্ট গ্রহণ, বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্টুরেন্ট সমূহের জন্য বাংলাদেশ থেকে মসলা রপ্তানি সহ বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন।
সভাপতির বক্তব্যে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি তাহমিন আহমদ বলেন, বর্তমান সরকার দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলেছেন। সিলেটে বিনিয়োগের এখন অনেকগুলো ক্ষেত্র রয়েছে, যার মধ্যে স্পেশাল ইকোনমিক জোন ও বঙ্গবন্ধু হাই-টেক পার্ক অন্যতম। তিনি বলেন, প্রবাসীরা বিনিয়োগে উৎসাহী হলে আমরা সিলেটে প্রবাসীদের জন্য একটি এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন গড়ে তুলতে পারবো। যেখানে প্রবাসীরা রপ্তানীমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবেন। তিনি বলেন, সিলেটের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে আমরা সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে ২০টি প্রস্তাবনা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে উপস্থাপন করেছি, যেগুলো বাস্তবায়িত হলে সিলেটের অর্থনৈতিক উন্নয়ন অনেকখানি ত্বরান্বিত হবে বলে আমাদের বিশ্বাস। তিনি বিবিসিসিআই ও সিলেট চেম্বার অব কমার্সের উদ্যোগে সিলেটে একটি আন্তর্জাতিক মানের টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার স্থাপনের প্রস্তাব করেন। এছাড়াও তিনি সিলেটে বিনিয়োগে প্রবাসীদেরকে সিলেট চেম্বার অব কমার্সের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট ও এডভাইজার ড. ওয়ালি তছর উদ্দিন এমবিই, চীফ এডভাইজার জনাব আহমেদ-উস-সামাদ চৌধুরী জেপি, ভাইস প্রেসিডেন্ট কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হক, নর্থ-ওয়েস্ট রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট জনাব মিজানুর রহমান মিজান, প্রেস এন্ড পাবলিকেশন ডিরেক্টর জনাব মোস্তফা আহমেদ লাকী, ডিরেক্টর বাংলাদেশ চ্যাপ্টার ও ডিরেক্টর সিলেট চেম্বার অব কমার্স জনাব মোঃ হিজকিল গুলজার, সিলেট চেম্বারের সিনিয়র সহ সভাপতি জনাব ফালাহ উদ্দিন আলী আহমদ, পরিচালক আবু তাহের মোঃ শোয়েব, ওয়াহিদুজ্জামান চৌধুরী (রাজিব), দেবাংশু দাস, কাজী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান, সারোয়ার হোসেন ছেদু, বিবিসিসিআই এর প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বাসন, মুজিবুর রহমান, সিলেট চেম্বারের সদস্য সানজিদা খানম, মাহদী সালেহীন, মোঃ জহির হোসেন, মোঃ আব্দুর রকিব প্রমুখ।