1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৪ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
ধর্মপাশা ও মধ্যনগর হাওরের ১৩ টি সুইজ গেইটের মধ্যে ১১ টি নষ্ট ফসল হানির আশংকা বিশ্বম্ভর পুরে ইরা সংস্থার মালালা ফান্ডের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষায় আর্থিক সহায়তা বিষয়ক সভা অনুষ্ঠিত গোলাপগঞ্জের হামলার ঘটনায় এসপি মান্নান কারাগারে সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে প্রায় দেড় কোটি টাকার চোরাই মালামাল জব্দ সিলেট বিভাগে ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ের ওসি এখনো বহাল থেকেইে দায়িত্ব পালন সিলেট বিভাগের ১৯টি আসনে জামায়াতের প্রার্থীদের তালিকা চুড়ান্ত ধর্মপাশায় বিশেষ অভিযানে ১৯ টি ভারতীয় গরু সহ গ্রেপ্তার ৫ সুনামগঞ্জে নদীপথে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন ছাতকে ইউকে প্রবাসী ভলিবল চ্যাম্পিয়নশীপ সম্পন্ন নৌপথে চাঁদা বন্ধের প্রতিবাদে মানববন্ধন

বিশ্বম্ভরপুরে ৪০ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জন আসামী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪
  • ৮১ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার:  গেল চার আগস্ট বিশ্বম্ভরপুরের ছাত্র—জনতার উপর হামলা, মারধর এমনকি হাসপাতালে চিকিৎসা নেবার সময় ভেতরে ঢুকে মারপিটের ঘটনায় ৪০ জনের নামোল্লেখ করে ২৫০ জনকে আসামী করে বৃহস্পতিবার বিশ^ম্ভরপুর থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার এই মামলার নথি আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা পরিষদের অব্যাহতিপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক রফিকুল ইসলাম তালুকদারকে মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে।

মামলার অন্য আসামীরা হলেন— উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেনজির আহমদ মানিক, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম সিদ্দিকী, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাত মরিয়ম, সলুকাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল আলম সিদ্দিকী তপন, ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিলন মিয়া ও পলাশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সুহেল মিয়া। এছাড়া দলীয় নেতা চিনাকান্দির খালেদ মাহমুদ তালুকদার, নতুনপাড়ার শাহ দিলুয়ার হোসেন দিলু, নতুনপাড়ার মামুনুর রশিদ, বোয়ালিয়ার হুমায়ুন কবির পাপন, ছাতার কোনা’র মোশারফ হোসেন ইমন, নতুনপাড়ার আলমগীর আলম, বাগগাঁওয়ের কামরুজ্জামান কামরুল, পদ্মনগরের অলিমান তালুকদার, ইসলামপুরের নজরুল ইসলাম, পলাশের আবুল কালাম আজাদ, মল্লিকপুরের রুকন মিয়া ও ছইফুল আমিন, মুক্তিকলার আব্দুল কাহার, চান্দের গাঁওয়ের আবুল খায়ের, বাগাঁওয়ের হুমায়ুন কবীর মৃদা, বোয়ালিয়া’র বাবুল মিয়া, মুক্তিখলার রাজু মিয়া, ফতেহপুরের রঞ্জিত চৌধুরী রাজন, ডলুরা’র ফুল মিয়া, পুরান মুক্তিখলার এমদাদুল ইসলাম, পিরিছপুরের আব্দুল হেকিম, মাঝাইরের সাজ্জাদুর রহমান সাজু মাস্টার, ছয়হাড়া’র মাসুম, জিনারপুরের সোহেল পাঠান, মিয়ারচরের লুৎফুর রহমান নাইম, গোবিন্দনগরের হেলিম শেখ, পুকুরপাড়ের আমান উল্লা, কাছিরগাতির আব্বাস মাস্টার, মুক্তিখলার সোলেমান তালুকদার, কৃষ্ণনগরের সেলিম আহমদ মিঠু, জিনারপুরের মহরম আলী, ছাতারকোনার ছাদেক মেম্বার ও মুক্তিখলার ফয়জুল ইসলাম। এছাড়া অজ্ঞাত আসামী উল্লেখ করা হয়েছে দুই থেকে আড়াই’শ।

মামলার বাদী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক উপজেলা সদরের মল্লিকপুর গ্রামের এনামুল হকের ছেলে মোস্তাকিম হাসান শিপু বললেন, চার আগস্টে শান্তিপূর্ণ মিছিল নিয়ে উপজেলা সদরের দিকে যেতে থাকি আমরা। থানার সামনে যেতেই দা, রামদা, লাঠিসোঁটা, এমনকি বন্দুক নিয়ে আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আওয়ামী লীগ ও তাদের অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা। শতাধিক ছাত্র—জনতা এখানে আহত হন। আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গেলেও তারা হামলা করে। হাসপাতালের ভিডিও ফুটেজ এবং থানার সামনের সড়কের ভিডিও ফুটেজ দেখলে বুঝা যাবে কত অমানবিক আক্রমণ করেছে এরা। আমাদের অনেক ছাত্র কর্মী এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে আছে। ওই দিনের ভিডিও ফুটেজ দেখে আমরা এই মামলা করেছি। আইন—শৃঙ্খলা বাহিনীও ভিডিও দেখেই ব্যবস্থা নেবে বলে মনে করছি আমরা।

বিশ^ম্ভরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. ছবাব মিয়া বলেন, অব্যাহতি প্রাপ্ত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসা নিতে যাওয়া আহত ছাত্রদেরও পিঠিয়েছে তারা। ভিডিও ফুটেজ দেখে দোষীদের আইনের আওতায় আনতে হবে। আবার নির্দোষ কেউ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেটিও খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবার পরও কিছু ঘটনা বিশ^ম্ভরপুরে ঘটেছে যা অনাকাঙ্খিত। বিএনপি কিংবা আমাদের অঙ্গসংগঠন কেউ এসব ঘটনায় জড়িত নয়, কিংবা কোন ছাত্ররা এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। যারা এসব অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়েছে তারাও ভালো করেনি।

বিশ^ম্ভরপুর থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানালেন, বৃহস্পতিবার ছাত্র—জনতার পক্ষে মামলাটি দায়ের হয়েছে। শুক্রবার সকালেই এর নথি সুনামগঞ্জের আমল গ্রহণকারী আদালতের কাছে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় এখনো কেউ গ্রেপ্তার হয় নি।

প্রসঙ্গত. ছাত্র—জনতার গণঅভ্যুত্থানের আন্দোলনে সুনামগঞ্জ জেলায় বিশ^ম্ভরপুর উপজেলায়ই সংঘর্ষ এবং ছাত্র—জনতার উপর হামলার ঘটনা বেশি হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায়ও ওখানেই বেশি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন