1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:১৬ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
সিলেটে বিএনপির শোভাযাত্রায় হাজার—হাজার নেতাকর্মী সুনামগঞ্জে অস্ত্রের মুখে ভয় দেখিয়ে মিথ্যে স্বাক্ষী প্রদানে বাধ্য করায় আদালতে মামলা একদশক পর বিএসএমএমইউ’তে অধ্যাপক ডা. নিয়াজ আহমদ চৌধুরীর যোগদান সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার ধর্মপাশায় পবিত্র ঈদ-ই- মিলাদুন্নবী উদযাপন উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল ফেনী বন্যার্তদের পাশে উত্তর সুরমা চাকুরিজীবী পরিষদ হাফিজ সোসিয়াল ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সম্মাননা প্রদান তাহিরপুর সীমান্তে চুরাই পথে কয়লা আনতে ভারতে গিয় গুহার মাটি চাপায় কয়লা শ্রমিকের মৃত্যু আন্দোলনে নিহত ৮৭৫ জনের মধ্যে ৪২২ জনই বিএনপির সিগারেট না দেওয়ায় যুবক খুন

বিশ্ববাজারে চালের দামে অস্থিরতা প্রকট আকার ধারণ

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ১৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ৯৬ বার পড়া হয়েছে

বিশ্ববাজারে চাল রফতানির অন্যতম দেশ ভারত। সম্প্রতি দেশটি রফতানি বন্ধ ঘোষণা করার পরই চালের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে। চলতি সপ্তাহে বিশ্ববাজারে চালের দাম বেড়ে ১৫ বছরের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় বৈরী আবহাওয়া পরিস্থিতির কারণে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে চালের উৎপাদন। ফলে অস্থিরতা আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকরা। খবর আরটি।

থাই রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের দেয়া তথ্যমতে, থাইল্যান্ডে প্রতি টন ৫ শতাংশ ভাঙা চালের রফতানিমূল্য বেড়ে ৬৪৮ ডলারে পৌঁছেছে। ২০০৮ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ দাম। ভারত বাসমতি বাদে অন্যান্য চালের ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার কারণেই শস্যটির বাজারদরে এমন উল্লম্ফন দেখা দিয়েছে।

ভারত বিশ্বের শীর্ষ চাল রফতানিকারক। জুলাইয়ের শেষ দিকে দেশটি বাসমতি ছাড়া সব ধরনের সাদা চালের ওপর রফতানি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সে সময় দেশটির সরকার জানায়, স্থানীয় বাজারে চালর দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতেই মূলত এ পদক্ষেপ নেয়া হয়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের অক্টোবরের পর থেকে এ বছরের জুলাই পর্যন্ত ভারতে চালের দাম বেড়েছে ৩০ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, স্থানীয় বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভারতের এ উদ্যোগ বিশ্ববাজারকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোয় প্রধান খাদ্যশস্য চাল। এর সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়ায় বিশ্বজুড়ে খাদ্য মূল্যস্ফীতি আরো প্রকট আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

নতুন করে থাইল্যান্ড থেকে চাল সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। শস্যটি রফতানিতে দেশটির অবস্থান দ্বিতীয়। কিন্তু এল নিনো ও ভয়াবহ খরার আশঙ্কায় দেশটির সরকার চালের পরিবর্তে অন্য ফসল উৎপাদন বাড়াতে কৃষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। কম পানি ব্যবহার করতে হয় এমন ফসলের উৎপাদন বাড়াতে উৎসাহিত করা হচ্ছে তাদের। বর্তমানে আবহাওয়া পরিস্থিতিতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া ও অন্য অঞ্চলগুলোয় বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কমে আসতে পারে। ফলে চাল উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতের উত্তরাঞ্চলে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাঞ্জাব ও হরিয়ানাসহ কয়েকটি রাজ্যে নতুন রোপণ করা ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে অনেক এলাকার কৃষককে আবার ধান রোপণ করতে হয়েছে। বিশ্বজুড়ে চাল সরবরাহের প্রায় ৯০ শতাংশের ভোক্তা এশিয়া। এল নিনো ফিরে আসায় এ অঞ্চলের দেশগুলোয় চালের উৎপাদন ব্যাপকভাবে ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। যার প্রভাবে লাগামহীন হয়ে পড়তে পারে শস্যটির বাজার।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও শস্য চুক্তি বাতিলে গম ও ভুট্টা সরবরাহ বাধাগ্রস্ত হওয়ায় চালের চাহিদা বেড়েছে। গত বছর ভারত ১৪০টি দেশে প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ টন চাল রফতানি করেছে, যা বিশ্বব্যাপী চাল বাণিজ্যের প্রায় ৪০ শতাংশ। থাইল্যান্ড বিশ্ববাজারের চাহিদার প্রায় ১৫ ও ভিয়েতনাম ১৪ শতাংশ চাহিদা মেটায়। ভারত সরকারের তথ্যানুসারে, দেশের চাল রফতানির মাত্র ২০ শতাংশ বাসমতি। বাংলাদেশ, নেপাল, সেনেগাল, বেনিন ও আফ্রিকার কিছু অঞ্চলে বাসমতি ছাড়া অন্যান্য চালের উচ্চচাহিদা রয়েছে। ভারতীয় চালের ওপর এ নির্ভরশীলতা খাদ্যনিরাপত্তাহীনতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। তবে সেদ্ধ চাল ও বাসমতি চালের জন্য ভারতের রফতানি নীতির পরিবর্তন হয়নি; যা চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মতো দেশে পাঠানো হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন