হাওরাঞ্চলের কথা :: দেশে নতুন আর কোনো রোহিঙ্গাও প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
শুক্রবার দুপুরে সিলেটে এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
“আমরা নীতিগতভাবে একজনও নতুন রোহিঙ্গা নেব না, আমরা অলরেডি নিয়ে ঝামেলায় পড়েছি। প্রতি বছরে অনেক টাকা খরচ করেছি।
“সম্প্রতি ওখানে ঝামেলা হয়েছিল; কিছু লোক ঢুকে গেছে। আমরা আস্তে আস্তে এগুলো বের করে দেব।”
গত ১৮ জানুয়ারি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার কোনারপাড়া শূন্যরেখা ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) এবং আরাকান রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একজন নিহত এবং এক শিশুসহ দুই রোহিঙ্গা আহত হন।
সংঘাতের জের ধরে ওইদিন বিকালে শূন্য রেখার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। আগুনে ক্যাম্পের প্রায় সবকয়টি ঘর পুড়ে যায় বলে রোহিঙ্গাদের ভাষ্য। সেখানে প্রায় সাড়ে চার হাজার রোহিঙ্গা বসবাস করতেন।
অগ্নি-সংযোগের পর ক্যাম্প লাগোয়া সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া পেরিয়ে রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের একটি অংশ আত্মরক্ষার্থে মিয়ানমার ভূখণ্ডে চলে যায়। অপর একটি অংশ নিকটবর্তী তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ, তুমব্রু বাজার, আশপাশের পতিত জমিতে আশ্রয় নেয়।
বাংলাদেশ ২০১৭ সালের ২৫ অগাস্ট থেকে কক্সবাজার জেলায় ১২ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগই মিয়ানমারে সামরিক দমন অভিযানের পরে এখানে এসেছে। এটিকে জাতিসংঘ ‘জাতিগত নির্মূলের উদাহরণ’ বলে অভিহিত করেছে।
স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে
দুপুরে এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-৩, এনসিডিসি ইউনিট ও ‘হৃদয়ে বঙ্গবন্ধু’ কর্নার উদ্বোধন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
বৃহত্তর সিলেটের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে জানিয়ে মোমেন বলেন, এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ-৩ ইউনিট এ অঞ্চলের মানুষের; বিশেষ করে মুমূর্ষু রোগীদের জীবন বাঁচাতে মূল্যবান অবদান রাখবে। অবদান রাখবে এনসিডিসি ইউনিটও।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ শুরুর ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিয়ে তিনি বলেন, হাসপাতালটির উপর চাপ কমাতে এবং সিলেটবাসীর স্বাস্থ্যসেবার বিস্তৃতি ঘটাতে ওসমানী হাসপাতালের দ্বিতীয় শাখার কাজ দ্রুত শুরু করা জরুরি।
মন্ত্রী বলেন, এটি হয়ে গেলে সিলেটবাসীকে আর বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে হবে না। এতে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে তেমনি মানুষের জীবনও অনেক সুরক্ষিত হবে।