নিউজ ডেস্কঃ সিলেট নগরীর বিভিন্ন স্পষ্টে চলছে রমরমা জুয়ার আসর। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব জুয়ার আসরে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকার জুয়া খেলা হয়। বিগত কয়েক বছর ধরে একটি অপরাধী চক্র সিন্ডিকেট করে মহানগরীর উত্তর ও দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন মার্কেট, ব্যস্ততম রাস্তা, দোকানপাট, অলিগলিতে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে নির্বিঘ্নে জুয়ার আসর পরিচালনা করছে।
অভিযোগ আছে, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই চলছে এসব জুয়ার স্পট। এসব স্পটে জুয়া খেলে অনেক মানুষ নিঃশ্ব হলেও জুয়ার বোর্ডের মালিকরা বনে যাচ্ছেন কোটিপতি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সিলেট নগরীর সাগরদীঘির পাড় বাগবাড়ী, বেতের বাজার,কানিশাইল খেয়াঘাট,শেখঘাট,আখালিয়া নয়া বাজার কালিঘাটের বস্তাপট্টি নামক মার্কেটের দ্বিতীয় তলা, কাষ্টঘর সবজি মার্কেট, সোবহানীঘাট ফাঁড়ির পাশে, মাছিমপুর, দক্ষিণ সুরমার কিনব্রিজের নিচ, ভার্থখলার কুমিল্লাপট্টি, কদমতলি বাসস্ট্যান্ডের পাশে বালুর মাঠ, পুরাতন রেলস্টেশন, লালাবাজার ও নাজিরবাজারের প্রতিদিন বসে এসব সিলং তীর সহ বিভিন্ন ধরণের জুয়ার আসর।
স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি, অসাধু সাংবাদিক ও প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করেই চলে এসব জুয়ার আসর। তাই অপরাধী চক্রের অপরাধ দেখেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন কর্তৃপক্ষ। এসব রমরমা জুয়ার ব্যবসা চালানোর কারণে জুয়ায় আসক্ত নিম্ন আয়ের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ উৎসাহিত হচ্ছে। এসব কারণে একদিকে যেমন বাড়ছে সামাজিক বিশৃঙ্খলা, অন্যদিকে বাড়ছে পারিবারিক বিবাদ-কলহ, চুরি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মকান্ড।
এসব জুয়ায় নগরীর টোকাই, ভিক্ষুক, নিম্ন এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণির ঠেলাচালক, ভ্যানচালক, রিকশাচালক, সিএনজি চালক, বাসচালক, মাইক্রোবাস চালক, ট্রাকচালক, পিকআপ চালক, হেলপার, স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছাত্র, বেকার যুবক, বিভিন্ন কলোনির বিধবা মহিলা, কাজের বুয়া এবং তাদের সন্তানরা রাতারাতি বড়লোক হওয়ার লোভে এসব জুয়ার আসরে সারাদিনের ইনকাম বিনিয়োগ করে দিনশেষে প্রতারিত হয়ে খালি হাতে বাসায় ফেরে।
ফলে একদিকে যেমন বাসায় অশান্তি-কলহ সৃষ্টি হয়, অন্যদিকে পরিবারের আহার জোগাতে চুরি-ছিনতাইয়ে জড়িয়ে পড়ে এসব জুয়াড়িরা। তাই সিলেট মহানগরীতে অপরাধ প্রবণতা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
এব্যপারে এসএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মু. মাসুদ রানা বলেন, জুয়ড়িদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, তা অব্যাহত থাকবে।