স্টাফ রিপোর্টার:  সুনামগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত আদর্শ শিশু শিক্ষা নিকেতন, জলিলপুর একরাম উদ্দিন খাঁ ও আব্দুল আজিজ খাঁ পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বীরমুক্তিযোদ্ধা মনোয়ার বখত নেক আরপিন নগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী আবিদ উল্লাহ পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়পাড়া আব্দুর রহমান পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি প্রতিষ্ঠার ২৭ বৎসর পর এই প্রথম পাঠদানের অনুমতি সনদপত্র পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকল শিক্ষকমন্ডলী, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সম্মানিত সদস্যবৃন্দসহ উপজেলা ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন— সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত। প্রয়াত চেয়ারম্যান দেওয়ান মমিনুল মউজদ্দীন এর আন্তরিকতা ও স্থানীয় এলাকার জমি দাতাদের সহায়তায় পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলি প্রায় ১৯৯৭ সালে শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা হয়। দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও বিভিন্ন কারনে বিদ্যালয়গুলি পাঠদানের অনুমতি ছিল না। শিক্ষা কর্মসূচীতে বর্তমান পৌর মেয়র নাদের বখত এর পরিকল্পনায়, সমাজ উন্নয়ন কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন এর তত্ত্বাবধানে, বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা পৌর বিদ্যালয় সহযোগী সংস্থা আরডিএসএ এর নিবার্হী পরিচালক মোঃ মিজানুল হক সরকার এর কারিগরি পরামর্শে, সুনামগঞ্জ পৌরসভায় কর্মরত নিবার্হী প্রকৌশলী কালী কৃষ্ণ পাল ও হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা সন্তোষ কুমার দাস এর সমন্বয়ে কর্মরত সকল শিক্ষকবৃন্দের শ্রমে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি পাঠদান এর অনুমতি লাভ করে। পৌর মেয়র নাদের বখত বলেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক স্বাক্ষরিত পাঠদান অনুমতি সনদপত্রে উল্লেখিত শর্তসমূহ যথাযথভাবে অনুসরণ করা হবে। পৌরসভার শিক্ষা কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ৬টি পৌর বিদ্যালয়ের সার্বিক উন্নয়নে ২০২৪—২০২৫ অর্থবছরে ৩০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি পৌরসভা কর্তৃক পরিচালিত পৌর বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান বৃদ্ধি, লেখাপড়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের স্কাউট, শরীরচর্চা, খেলাধুলা, চিত্রাংকন, নৃত্যকলা ও সংঙ্গীত প্রশিক্ষণে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হবে। বিদ্যালয় গুলির সার্বিক উন্নয়নে সহযোগিতা বর্তমানের ন্যয় ভবিষ্যতেও করে যাবেন বলে আশ^াস প্রদান করেন।