তাহিরপুর প্রতিনিধি : দেশের চলমান পরিস্থিতি ও কোটা আন্দোলনের জেরে পর্যটক শুন্য হয়ে পড়েছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলা। ফলে পর্যটন সংশ্লিষ্ট হাউসবোট ব্যবসায় ব্যাপক ধস নেমেছে। উপজেলার পর্যটন স্পট হিসেবে পরিচিত দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রামসার সাইট খ্যাত টাঙ্গুয়ার হাওর, সীমান্ত ঘেঁষা শহীদ সিরাজ লেক (নীলাদ্রি লেক), লাকমা ছড়া, বারেক টিলা, রূপের নদী যাদুকাটা ও এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহৎ শিমুল বাগান সহ কোথাও নেই পর্যটকদের উপস্থিতি।
তাই পর্যটন–সংশ্লিষ্ট বিলাসবহুল হাউসবোট, হোটেল-রেস্তোরা, অবকাশ যাপনকেন্দ্র, গাড়িচালক, ট্যুরিস্ট গাইড, দোকানি ও সড়কের ধারে ফল বিক্রেতা সহ অনেকেই কর্মহীন অবস্থায় রয়েছে।
এ অবস্থা বিরাজ করছে চলতি বছরের মে মাসে শুরু হওয়া বন্যা থেকে। বন্যার রেশ কাটতে না কাটতেই শিক্ষার্থীদের শুরু হওয়া কোটা সংস্কার আন্দোলন ও দেশব্যাপী কারফিউ জারি সহ চলমান পরিস্থিতিতে পর্যটকদের উপস্থিতি হচ্ছে না।
হাওরে পর্যটকদের রাত্রিযাপনকে কেন্দ্র করে তৈরি বিভিন্ন বিলাসবহুল হাউসবোটের মালিক ও একাধিক পরিচালকের সাথে কথা বলে জানা যায়, কোটা আন্দোলন কর্মসূচি ও সারাদেশে কারফিউ জারির প্রভাবে এখনো তাহিরপুরে পর্যটকরা আসছেন না,
এর ফলে হাজারো বিলাসবহুল হাউসবোটের মালিক চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। সেইসাথে হাউসবোটগুলো পরিচালনার দায়িত্বে থাকা পর্যটক নির্ভরশীল স্থানীয় কয়েক হাজার মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন।
বিলাসবহুল হাউসবোট ভেলা,র পরিচালক মুহিবুর রহমান জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রভাবে তাহিরপুরে পর্যটকদের আগমন নেই, ফলে হাউসবোট মালিক ও শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়েছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সালমা পারভীন বলেন, তাহিরপুর উপজেলায় পর্যটকদের আগমন নিয়ে কোনো নিষেধাজ্ঞা নেই, যদি পর্যটকদের উপস্থিতি দেখা যায় তাহলে তাদের নিরাপত্তার জন্য উপজেলা প্রশাসনের নজরদারি থাকবে।