হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে নদী থেকে অনিক মিয়া (২০) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার (২৬ আগষ্ট) সন্ধ্যা আনুমানিক সাতটায় উপজেলার জলসুখা ইউনিয়নের ইসবপুর (জালহাটী) সংলগ্ন কোদালিয়া নদী থেকে মরদেহটি উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
মৃত অনিক মিয়া জলসুখা ইউনিয়নের ইসবপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান ওরফে মতি মিয়ার পুত্র ও এক সন্তানের জনক।
জানা গেছে, কিছুদিন যাবত এলাকার কয়েকজন মিলে ভোর সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ছোট নৌকা দিয়ে নদী সংলগ্ন ডুবন্ত চরের ভুমি থেকে মাটি কেটে বিক্রি করতো অনিক। অন্যান্য দিনের মত সোমবার সকালেও এলাকার কয়েকজন মিলে মাটি কেটে বিক্রি করতে যায় অনিক। দুপুরে কাজ শেষ হবার পর সবাই একসাথে বাড়ি ফেরার সময় অনিক হাত মুখ ধুয়ে পরে আসবে বললে তার সাথের অন্য লোকজন তাদের বাড়ি ফিরে যায়। সন্ধ্যার পর অনিক বাড়ি না ফেরায় অনিকের সাথে কাজ করা অন্যদের অনিকের বিষয়ে জিজ্ঞেস করে তার পরিবারের লোকেরা। তখন তারা জানান কাজ শেষ করে ফেরার সময় অনিক হাত মুখ ধুয়ে পরে আসবে বলে আমাদের বলেছিল।
এরপর অনিকের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়রা অনিককে খোজাঁখুজিঁ শুরু করেন। খোজাঁর একপর্যায়ে কোদালিয়া নদীতে অনিকের মরদেহ খোঁজে পান তারা।
অনিকের চাচা তৈমুর রহমান জানান, মাগরিবের নামাজের পর অনিকের বাড়িতে গিয়ে তার কাজ শেষে বাড়ি ফিরে না আসার বিষয়টি জানতে পারি। তার সাথে কাজে যাওয়া অন্য লোকদের জিজ্ঞাসা করলে তারা জানায়, অনিক ফেরার সময় হাত — মুখ ধুয়ে পরে আসবে বললে তারা তাকে নদী পাড়ে রেখে চলে আসে। এরপর আমরা অনিককে খোঁজতে শুরু করি। খোঁজার একপর্যায়ে নদীতে ডুবন্ত অবস্থায় কিছু একটা একজনের পায়ে লাগে। তারপর সেটি তুলতে গিয়ে দেখাযায় এটি অনিকের মরদেহ।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.জুনায়েদ আহমেদ জানান, তারা একত্রে মাটি কেটে বিক্রি করতো শুনেছি। আজকে ফেরার পথে নাকি অনিক পরে আসবে বলে। সন্ধ্যায় অনিক বাড়ি ফিরে না আসায় অনিককে খোঁজা শুরু হয়৷ খোঁজার একপর্যায়ে নদী থেকে অনিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ডালিম আহমেদ মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করে কালবেলাকে বলেন, অনিকের মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল তৈরি করে মঙ্গলবার ভোরে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।