সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার পাইকুরাটি ইউনিয়নের গাছতলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমিতা বালা তালুকদার ও সহকারী প্রধান শিক্ষক দীনুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাদের পদত্যাগ দাবি করেছে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার দুপুরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষুভের মুখে পদত্যাগ করেন তারা।
ওইদিন সকালে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে সুমিতা বালা তালুকদার ও দীনুল ইসলামের পদত্যাগের দাবিতে গাছতলা বাজারে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিল শেষে পাইকুরাটি বাজারে গিয়ে সমাবেশে শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকেরা বক্তব্য দেন। পরে শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষককে অবরোদ্ধ করেন। খবর পেয়ে উপজেলা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ, আশরাফুল আলম আরিফ সহ কয়েকজন বিদ্যালয়ে উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থী ও অভিযুক্ত শিক্ষকদের সাথে কথা বলেন। দুপুর ১টার দিকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাহবুবুল কবির সেখানে গেলে শিক্ষার্থীরা তাঁর কাছেও একই দাবি জানান। মাহবুবুল কবির শিক্ষার্থীদের দাবির বিষয়টি ইউএনওকে অবগত করেন। এ সময় অফিসকক্ষে উপস্থিত শিক্ষার্থী ও অভিভাবক এবং বাইরে অপক্ষেমান শিক্ষার্থীরা আরও ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। তখন পরিস্থিতি সামাল দিতে সুমিতা বালা তালুকদার ও দীনুল ইসলাম সকলের উপস্তিতিতে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ পত্রে স্বাক্ষর করেন। পরে এ আনন্দে শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল বের করে।
এদিকে বিকেল তিনটার দিকে পদত্যাগ করা দুই শিক্ষক ইউএনও কার্যালয়ে এসে তারা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেননি বলে দাবি করেন। তখন শিক্ষকরা বিষয়টি বিবেচনা ও যাচাই বাছাই করার জন্য ইউএনওর কাছে সময় প্রার্থনা করেন। ইউএনও তখন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক লুৎফুর রহমানকে বিদ্যালয় পরিচালনার দায়িত্ব দিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিদ্যালয়ে না যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এছাড়াও আগামী মঙ্গলবার পাঠদান চলাকালে সুমিতা বালা তালুকদার ও দীনুল ইসলামের ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত মতামত জানার জন্য লুৎফুর রহমানসহ সহকারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দেন ইউএনও। শিক্ষার্থীদের চুড়ান্ত মতামতের ভিত্তিতেই যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, পদত্যাগ পত্রের কপি আমি পেয়েছি, এবিষয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থানেওয়া জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।