নামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার সেলবরষ ইউনিয়নের গাবী গ্রামে গ্যাস ফিল্ড নামক স্থানে হৃদয় (২০) নামে এক যুবক ছুরিকাঘাতে নিহত ও অন্তত ২ জন গুরুতর আহত ও গ্রেপ্তার হয়েছে ৪ জন। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১০টায় গাবী হিফজুল কোরআন আশরাফিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠানের স্থান হতে অন্তত ৫০০ গজ দূরে অস্থায়ী ট্যাং এর নিকট এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, অন্তর মিয়া ও তাইন দুজন সহপাঠী। গতবছর এস.এস.সি পরীক্ষা চলাকালে আসন নিয়ে দুজনের মধ্যে শত্রুতা তৈরি হয়। পূর্ব শত্রুতার জেরে তাইন (১৯) ও তার অনুসারীরা অন্তরের(১৯) উপর হামলা করলে হৃদয মিয়া(২০) বাধা প্রদান করলে তাইনের এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাতে হৃদয় মিয়ার বুকের বামপাশে গুরুতর জখম হয়। পাশাপাশি অন্তর (১৯) মিয়া, শামীম মিয়া(২০) ও সাজন মিয়া আহত হয়। স্থানীয় এলাকাবাসী ও পুলিশের সহযোগিতায় আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক হৃদয় মিয়াকে মৃত ঘোষণা করে। হৃদয় মিয়া(২০) পেশায় রাজমিস্ত্রী ও গাবী গ্রামের আক্কাস মিয়ার ছেলে। অন্তর ও শামীম মিয়ার পেটে গুরুতর জখম হওযায় তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে রেফার করা হয়। অন্তর (১৯)ও শামীম(২০) নিজগাবী গ্রামের বাসিন্দা। পরবর্তীতে শামীম মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকায় নেয়া হয়। এ ঘটনায় পুলিশ তাইন(১৯), পিতা- সিদ্দিক, সজীব(১৯), পিতা-মোতালিব, রিফাত(১৯), পিতা-ফজল, সর্বগ্রাম- শরিশ্যাম, উপজেলা-ধর্মপাশা ও পাশ্ববর্তী বারহাট্টা উপজেলার ইসপিনজাপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা(২২)কে গ্রেফতার করে। ধর্মপাশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, ঘটনার সাথে সাথে রাতেই পুলিশ পাঠিয়েছি। চারজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। হৃদয় মিয়ার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।