স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জনগণের ভোটের অধিকার ক্ষুন্ন করে গেল ১৫টি বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্টিত ছিল এবং দিল্লীর গ্যারান্টি নিয়ে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিলেন। এ জন্য গুম, খুন থেকে শুরু করে দেশের মানুষকে ক্রীতদাস করে রেখেছিলেন তিনি।
সিলেটে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক এটিএম তুরাবের বাসভবনে বুধবার দুপুরে নিহতের পরিবারের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের সাথে রিজভী এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, দিল্লী এদেশের অপরাধিদের আশ্রয় দেয় কিন্তু সীমান্তে বাংলাদেশের মানুষকে হত্যা করে। আওয়ামী লীগ দেশকে লাশের রাজ্যে পরিণত করেছিলো। দেশের সম্পদ লুট করে পার্শ্ববর্তী দেশের ফায়দা করেছে শেখ হাসিনা। এসময় তিনি বলেন, প্রশাসনের এখনো দুর্নীতিবাজেরা রয়ে গেছে। তাদের হাতে প্রচুর টাকা। তারা যেকোনো সময় স্যাবোটাজ করতে পারে। দেশে এখনো আওয়ামী লীগের ঘাতকরা রয়ে গেছ। পরাজিত ঘাতকরা যাতে মাথাচাড়া দিতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সাবধান হতে হবে, যাতে শহীদদের আত্মত্যাগ বৃথা না যায়। একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত চলছে, তাই দেশকে স্থিতিশীল করতে দ্রুত নির্বাচনের তাগিদ দেন তিনি।রিজভী আরও বলেন, মুক্তচিন্তার মানুষদেরকে হয়রানিমুক্ত করতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করতে হবে। জনগনের ক্ষমতা জনগণের হাতে দিতে হবে।
এছাড়া আর যত কালো আইন আছে, তা এখনো বাতিল হলো না কেনো এমন প্রশ্ন তুলেন তিনি। এ সময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন আমরা বিএনপি পরিবারের নেতৃবৃন্দসহ জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মিফতাহ সিদ্দিকী।