1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৫৯ পূর্বাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
সাগর—রুনি হত্যায় বিগত সরকারের প্রভাবশালী অনেকে জড়িত : শিশির মনির দক্ষিণ সুরমায় পূজা মণ্ডপ পরিদর্শনে ইমদাদ চৌধুরী পূজায় সব ধরনের নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে : সেনাপ্রধান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুতে ধাক্কা, ওসমানী হাসপাতালে অটোচালকের মৃত্যু ধর্মপাশায় দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে র‍্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সিলেটে বিজিবির অভিযানে ৫,৬০০ কেজি ভারতীয় চোরাই পণ্য ও যানবাহন আটক মধ্যনগরে জুন মাসের বিল সেপ্টেম্বরে ছাড় ভূয়া প্রকল্পের নামে কোটি টাকা  আত্মসাৎ শাবির শাহপরান হল থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও মদের বোতল উদ্ধার বিএনপি নেতা হারিছ চৌধুরীর মরদেহ উত্তোলনে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ এতো আত্মত্যাগের পর ফ্যাসিবাদের দোসরদের পুনর্বাসিত হতে দোয়া হবে না : এড. এমরান আহমদ চৌধুরী

দিরাইয়ের ‘সুদখোরদের যন্ত্রণায় আমি এই পথ বেছে নিলাম’ –সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ৬ জুন, ২০২৩
  • ১৮৩ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:

অনুমোদিত ও ব্যক্তি পর্যায়ে চড়া সুদে স্থানীয় মহাজনদের কাছ থেকে ধার নিয়ে বিপাকে পড়ে অনেক গণ্যমান্য ও প্রভাবশালী ব্যাক্তিরা। তেমনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সৌম্য চৌধুরী (৬০) আত্মহত্যা করেছেন। অসুস্থ্য অবস্থায় শনিবার গভীর রাতে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল রোডের ফূলবাড়িয়া এলাকা থেকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে রাতেই মৌলভীবাজার জেলা সদর হাসপাতালে মারা যান তিনি। মৃত্যুর আগে তিনি তার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছিলেন দিরাইয়ে কিছু মানুষের নাম উল্লেখ করেন,‘ সুদখোরদের যন্ত্রণায় এই পথ বেছে নিলাম আমি।’ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (সন্ধ্যা সাতটা) তার মরদেহ দিরাইয়ে পৌঁছায়নি। সৌম্য চৌধুরী মৃত্যুর একদিন আগে তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন ‘আমার এমন পরিণতির জন্য দায়ী দিরাইয়ের হবিবুর রহমান এবং জসিম উদ্দিন। হবিবুরের কাছ থেকে আমি টাকা এনেছিলাম। তা সুদ করেছি দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়াকে সঙ্গে নিয়ে। এরপর আমি অসুস্থ্য হয়ে পড়ি, সুস্থ্য হয়ে জানতে পারি, ওদের টাকার জন্য আমার উপর মামলা হয়ে গেছে। ওদের টাকার জন্য আমি পথে বসেছি। হবিবুর একজন নিচু সুদখুর। সুদের টাকায় দিরাইয়ে তিনটি বাড়ি করেছে সে। জসিম উদ্দিন নামে আরেকজনের নাম উল্লেখ করে বলেন, সে ২৯ লাখ টাকা কোথা থেকে পেলো তদন্ত করলে বেরিয়ে আসবে। তিনি এই দুই সুদখোরসহ দিরাই কলেজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সজল দাস, অসিত দেব নাথ, চিনি ঠাকুর ও পুতুল দাসের নাম উল্লেখ করে লিখেন, ওরা সুদের ব্যবসা করে, মানুষ বিপদে পড়লে শতকরা ১০ টাকা হারে সুদে টাকা লাগায়। তিনি ওদের বিচারও দাবি করেন।

কমলগঞ্জ থানার ওসি সঞ্জয় চক্রবর্তী স্থানীয় সাংবাদিকদের জানান, সৌম্য চৌধুরীকে কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গল রোডের ফুলবাড়িয়া এলাকার সড়কের পাশে পড়ে থাকা অবস্থায় টহল পুলিশ শনিবার রাতে উদ্ধার করে। এসময় তিনি ক্ষিণকণ্ঠে কেবল দিরাইয়ের রাজানগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান পরিচয় দিচ্ছিলেন। সৌম্য চৌধুরী’র স্ত্রী ইলা চৌধুরী জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সিলেট থেকে ফোন দিয়ে তার স্বামী বলছিলেন, আমি আদালতে আত্মসমর্পণ করবো। আমি জেলে যাব। আমার তো তুমি ছাড়া কেউ নেই। আমাকে এসে দেখে যেও। তুমি তোমার বাবার বাড়িতে চলে গেলেই ভালো হবে। ইলা চৌধুরী জানান, তার স্বামী হবুর কাছ থেকে সাড়ে চার লাখ টাকা নিয়ে পাঁচলাখ টাকা দেবার পরও তারা ২৯ লাখ টাকা পাওয়ার মামলা করেছে। সে বাড়ীতে থাকতে পারে না। দিরাইয়ে যেতে পারে না। তাকে পুলিশ খোঁজে বেড়ায়। চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় তাকে মদ খাইয়ে চেক ও খালি স্টাম্পেসহ নানা কাগজে সই নিয়েছিল। হবুর টাকা আমার স্বামী দিরাই পৌরসভার সাবেক মেয়র মোশারফ মিয়াকে নিয়ে পরিশোধ করেছেন। মোশারফ মিয়া এই প্রসঙ্গে বলেন, সৌম্য চৌধুরীর কাছে হবুর পাওনা টাকার বিষয়টি পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে, পরে আরও এক লাখ টাকা দেবার শর্তে সুরাহা হলেও চেক ডিজওনার মামলা রয়েই গিয়েছিল।

জসিম উদ্দিন জানান, আমার চার লাখ টাকা পাওনা ছিল, বাকী টাকা হবুর ছিল, স্থানীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ২৯ লাখ টাকায় সমাধানের সুরাহা হওয়ায় সৌম্য চৌধুরী’র কাছ থেকে চেক নেওয়া হয়েছিল। দিরাই থানার ওসি মুক্তাদীর আহমদ জানান, সৌম্য চৗধুরী সাজাপ্রাপ্ত গ্রেপ্তারী পরোয়ানার আসামী ছিলেন। ফেসবুকে তিনি যাদের নাম লিখেছেন, তাদের কারো কারো সঙ্গে তার মামলা চলছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন