ডেস্ক নিউজ:: তিন দফা দাবি পূরণের বেধে দেওয়া সময় পার হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রেখে ধর্মঘট পালনের ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের তিন দফা দাবি হচ্ছে জ্বালানি তেল পরিবহনকারী ট্যাংকলরির অর্থনৈতিক জীবনকাল ৫০ বছর করা, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর প্রচলিত কমিশন কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ করা, জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা কমিশন এজেন্ট বিধায় প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সুস্পষ্ট গেজেট প্রকাশ করা।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে খুলনার খালিশপুরস্থ ট্যাংকলরি ভবনে বাংলাদেশ ট্যাংকলরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতি, খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়ন এবং পদ্মা মেঘনা ও যমুনা ট্যাংকলরি শ্রমিক কল্যাণ সমিতির সমন্বয়ে এক সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জ্বালানি তেল পরিবেশক সমিতির খুলনা বিভাগীয় সভাপতি আব্দুল গফফার বিশ্বাস।
সভায় শ্রমিকনেতারা তাদের বক্তব্য বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে এবং শ্রমিকরা এ আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণাসহ মালিকদের সঙ্গে আন্দোলনে সব সময় যুক্ত থাকবে।
মালিক সমিতির নেতারা বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত বেধে দেওয়া সময়সীমার মধ্যে সরকার দাবি পূরণ না করায় ৩ সেপ্টেম্বর থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ থাকবে। চার বছর ধরে একই এবং যৌক্তিক দাবিতে আমরা আন্দোলন করছি। সংশ্লিষ্টরা চার বছর ধরে কয়েকবার আমাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন, প্রতিবারই সময় নিয়েছেন কিন্তু বাস্তবায়ন করেননি। ফলে বাধ্য হয়ে আমাদের তেল উত্তোলন পরিবহন বন্ধের কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়েছে এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, ২৩ আগস্ট (বুধবার) খুলনার নিউ মার্কেট এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন বাড়ানোসহ তিন দফা দাবি পূরণে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সময়সীমা বেধে দিয়েছিল জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীরা।