তাহিরপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত নদী যাদুকাটায় পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নদীর পাড় কেটে নির্বিচারে অবৈধ বালু উত্তোলন করছে একটি বালুখেকো চক্র। এ চক্রের মূলহোতা মোশাহিদ আলম ওরফে রানুকে গ্রেপ্তারের দাবি উঠেছে।
এ দাবিতে আজ শনিবার সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলা সদরে মানববন্দন করেছে তাহিরপুর ছাত্রজনতা। এতে অবিলম্বে যাদুকাটায় পাড় কাটা বন্ধ ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন ছাত্রজনতা।
মানববন্ধনে বাদাঘাট সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আজিজুর রহমান কাওসার বলেন, যাদুকাটা বালুমহালে অতিরিক্ত রয়্যালিটি আদায় করা হতো এবং নির্বিচারে নদীর পাড় কেটে চলতো বালু উত্তোলন। রয়্যালিটি কমাতে ও পাড় কাটা বন্ধে জেলা প্রশাসকের নিকট আমরা লিখিত দাবি জানিয়েছিলাম। আমাদের দাবির প্রেক্ষিতে অতিরিক্ত রয়্যালিটি আদায় বন্ধ হলেও রাতের আঁধারে যাদুকাটা নদীর পাড় কাটা বন্ধ হয়নি। বরং বালুখেকোদের অপকর্ম বেড়েছে আরো কয়েকগুণ।
শিক্ষার্থী জাহিদ আল সুজন বলেন, আমরা জেনেছি যাদুকাটা নদীতে পাড় কেটে বালু উত্তোলনের মূলহোতা ঘাগটিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইউপি সদস্য মোশাহিদ আলম ওরফে রানু। ইউপি সদস্য রানু বিগত সময়ে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় থেকে যাদুকাটা নদীতে এসব অপকর্ম করে বেড়াত। সরকার পরিবর্তনের ফলে সে এখন স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় তার অপকর্ম অব্যাহত রেখেছে।
জনতার পক্ষে তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য তোজ্জামিল হক নাসরুম বলেন, যাদুকাটা নদীর পাড় কাটা বন্ধে থানার ওসিকে বারবার অবগত করা হলেও তিনি বালুখেকোদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। উপরন্তু টাকার বিনিময়ে বালুখেকোদের অবৈধ কাজে তিনি মদদ জোগাচ্ছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাও এর দায় এড়াতে পারেন না।
মানববন্ধনে ছাত্রজনতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আনিসুর রহমান সাকিব
মইনুল আহমেদ, তপু আহমেদ, আবুল হাসনাত রাহুল, সজিবুল ইসলাম, সারোয়ার ইয়াহিয়া, সুজন মিয়া, মানিক মিয়া, মইনুল ইসলাম, আবু সাইদ, আকাশ মিয়া, তানবির আহমেদ , শিপন আহমেদ ও ধন মিয়া প্রমূখ।