সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে চুরির অপবাদ দিয়ে ৫ জনকে আটক করে সারারাত নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে ।
সোমবার (২সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে মঙ্গলবার দুপুরে তাহিরপুর সদর বাজারে ইয়াসিনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করে নির্যাতনের শিকার হওয়া স্বজনরা।
নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিরা হলো- উপজেলার তাহিরপুর সদর ইউনিয়নের উজান তাহিরপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাজ উদ্দিন (২৫), বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হকের ছেলে সরোয়ার হোসেন (৩০), গোল আহমদের ছেলে জয় হোসেন (২৪), ছোবাহান মিয়ার ছেলে মশিবুর রহমান (২৬) একই ইউনিয়নের সুহেল মিয়ার ছেলে মওদুদ মিয়া (২৬)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত দেড় মাস পূর্বে উজান তাহিরপুর গ্রামের রবি আওয়ালের ছেলে দোকানদার ইয়াছিন মিয়ার বাড়ির পাশে একটি চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত রাত ২টার দিকে দোকানের সামনে সাজ উদ্দিন ও মশিবুরকে চোর সদস্য বলে দোকানদার ইয়াছিন। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয় সাজ উদ্দিন ও মশিবুরের সাথে। পরে ঘটনাস্থলে চিল্লাচিল্লি শুনে ইয়াছিনের স্বজনরা উপস্থিত হয়ে সাজ উদ্দিন ও মশিবুর সহ তাদের আরো তিন বন্ধু মওদুদু, সরোয়ার ও জয় হোসেনকে আটক করে। সারা রাত তাদের উপর দেশীয় অস্র দিয়ে অত্যাচার নির্যাতন করে। পরে ভোর হলে তাদের জনসম্মুখে নির্মাণাধীন উজান তাহিরপুর জামে মসজিদের পিলারে বেধে নির্যাতন করে। বিষয়টি জানাজানি হলে নির্যাতিতদের স্বজনরা উত্তেজিত হয়ে লাঠিসোটা নিয়ে ইয়াছিনের বাড়িতে হামলা করতে এগিয়ে আসে। তখন সেনা সদস্যরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসময় তারা ইয়াসিন মিয়াকে তাদের হেফাজতে থানায় নিয়ে আসে।
এ বিষয়ে তাহিরপুর থানা এসআই আবুল কালাম জানান, ইয়াছিন মিয়াকে সেনাবাহিনীর একটি টিম থানায় নিয়ে আসে। স্থানীয়রা এখনও কোন অভিযোগ করেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বিষয়টি শালিসের মাধ্যমে সমাধান করবে বলে থানায় একটি লিখিত দিয়েছন