স্টাফ রিপোর্টার: তাহিরপুর উপজেলা দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ ও মাদক কারবারীদের গডফাদার আতাউর রহমান জান্টু মেম্বার জেল হাজতে থাকায় স্বস্তি পেয়েছে এলাকাবাসী। পৈন্ডব বাজারের রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়ার দায়েরকৃত চাঁদাবাজী মামলায় গত বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থণা করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
আদালত ও মামলা সুত্রে জানা যায়, কালো টাকার জোরে দক্ষিন শ্রীপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়েই এলাকার চিহ্নিত চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারীদের গডফাদার খ্যাত আতাউর রহমান জান্টু ও তার ভাতিজা চিহ্নিত সন্ত্রাসী কাউসার বেপরোয়া হয়ে উঠেন এবং গত ১০ ডিসেম্বর ২০২২ইং তারিখ সন্ধ্যায় পৈন্ডব বাজারস্থ ভাই ভাই রেস্টুরেন্টে ঢুকে রেষ্টুরেন্ট মালিকের কাছে নগদ ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং চাঁদা না দিলে ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়াকে প্রাণে হত্যা করার হুমকি দেয়। এ ঘটনার সাথে সাথে রেষ্টুরেন্ট ব্যবসায়ী সেন্টু মিয়া বাদী হয়ে তাহিরপুর থানায় একটি জিডি এন্ট্রি দায়ের করলে রহস্যজনক কারণে পুলিশ তাৎক্ষনিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ১২ ডিসেম্বর ২০২২ তারিখে আমল গ্রহনকারী জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত সুনামগঞ্জে দ:বি: ৩৮৫/৫০৬(২)/৩৪ ধারায় একটি সিআর মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার মোকদ্দমা নং সিআর ২৮৮/২২। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে তাহিরপুর থানা পুলিশকে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিলে তাহিরপুর থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক ঘটনার সত্যতা পেয়ে আদালতে রিপোর্ট দাখিল করেন। তৎপ্রেক্ষিতে আদালত আসামী আতাউর রহমান জান্টু ও তার ভাতিজা কাউসারের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেন। দীর্ঘ দিন পলাতক থেকে গত বুধবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থণা করলে আদালত জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরনের নির্দেশ দেন। জান্টু মেম্বার জেল হাজতে প্রবেশ করায় এলাকায় স্বস্তির নি:শ^াস ফেলছেন সাধার মানুষ।
মামলার বাদী সেন্টু মিয়া জানান, জান্টু মেম্বারের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠছে এলাকাবাসী। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করায় এলাকার মানুষ স্বস্তি পেয়েছে। তার বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজরা কিছুটা হলেও ভয় পাবে। আমি ন্যায় বিচার চাই।