বিশেষ প্রতিনিধিঃ
৪র্থ ধাপে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ৫ ইউনিয়নে দলীয় প্রতিক নৌকা পেতে ঢাকায় অবস্থানরত নেতাকর্মীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে, যাদের নাম তৃণমুল থেকে পাঠানো হয় নাই তারাই বিপু্ল পরিমান টাকার বিনিময়ে নৌকা ভাগিয়ে নেয়ার প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। এ নিয়ে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ধনপুর ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নৌকার মনোনয়ন প্রত্যাশী মিলন মিয়া জানান, দীর্ঘ দিন যাবৎ মাঠ পর্যায়ে কাজ করছি। তৃনমু্ল থেকে আমাদের যাচাই বাছাই করে কেন্দ্রে আমিসহ ৬ জনের নাম পাঠানো হয়েছে। তাদের মধ্য থেকে যে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হলে ঐক্যবদ্ধভাবে নৌকার পক্ষে কাজ করব কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে সন্ত্রাসী লুটেরাদের মনোনয়ন দেয়া হলে খুবই কষ্টকর। আওয়ামীলীগ সুত্র জানায়,বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নে ৬ জন, পলাশ ৪ জন, ফতেহপুর ৪ জন, দক্ষিন বাদাঘাট ৩ জন ও সলুকাবাদ ইউনিয়নে ৩ জনের নাম উপজেলা আওয়ামীলীগের সুপারিশে ও জেলা আওয়ামীলীগ কেন্দ্রূীয় মনোনয়ন বোর্ডের কাছে প্রেরন করা হয়েছে। তাদের মধ্য থেকেই প্রার্থী মনোনিত করা হবে। এর বাহিরে কাউকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রার্থী করার সুযোগ নেই। তবে এলাকায় রিউমার ছড়িয়ে পড়ছে পলাশ ইউনিয়নে সোহেল ও ধনপুর ইউনিয়নে সাবেক চেয়ারম্যান রফিকু্ল ইসলাম টাকার বিনিময়ে নৌকা নিয়ে যাওয়ার প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। এ বিষয়ে বিগ্বম্বরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও পলাশ ইউনিয়নের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী মো: নুরুল আলম জানান, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাউকে নৌকা প্রতিক দেয়ার সুযোগ নাই। যাদের বিরুদ্ধে এলাকায় বদনাম আছে ভুমি দস্যু, সংখ্যালগুদের সম্পদ লুন্ঠনকারী, সরকারী খাস জমি জবরদখলকারী, অনুপ্রবেশকারী তাদের নাম দলীয় প্রাথী হিসেবে তৃণমু্ল থেকে পাঠানো হয়নি। তারপরও যদি তাদেরকে দলীয় প্রতিক নৌকা টাকার বিনিময়ে দেয়া হয়,তৃনমুলের নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবে না।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ব্যারিষ্টার এনামু্ল কবির ইমন জানান, তৃনমুলের দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে কাউকে দলীয় মনোনয়ন দেয়ার সুযোগ নেই। তৃনমু্ল থেকে যাদের নাম কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে তাদের মধ্য থেকেই দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনিত করবেন বলে বিশ্বাস করি। টাকার বিনিময়ে কাউকে দলীয় প্রতিক দেয়া হবে না।