যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এম এ মালিক বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সজীব ওয়াজেদ জয় একাধিকবার জেলে গিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৪ মিলিয়ন ডলার লুটের প্রমাণ আছে। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের আমলে এসব খবর সংবাদপত্রে প্রকাশ করতে পারেনি কেউ। এছাড়া শেখ রেহানাকে খুশি করতে দেশ—বিদেশে তাকে বিলাসবহুল বাসা—গাড়ি উপর দিয়েছেন নেতারা। তাদের এসব অপকর্মের প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরের নাইরপুল এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এম এ মালিক বলেন, শেখ হাসিনার সাথে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সম্পর্কের কথা সবাই জানে। ভারতের সাথে শেখ হাসিনার পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। ৫ আগস্টের পর তিনি আবারও প্রমাণ করলেন। গনহত্যার জন্য শেখ হাসিনার বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে, তবে সেই ফায়দা নিয়ে ভারত যাতে আমাদের ঠকায় না। ভারতকে সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে হবে। বাংলাদেশে ঘন ঘন বন্যার জন্য ভারত দায়ী।
মালিক আরো বলেন, ড. ইউনূসের অন্তবর্তীকালীন সরকারকে আমরা সময় দিতে চাই। তার নেতৃত্ব দেশে একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন চাই আমরা। তারেক রহমান অচিরেই বাংলাদেশে ফিরবেন। বিএনপি তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকার গঠন করবে।
সাপ্তাহিক জয়যাত্রা পত্রিকার প্রধান সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম মিন্টুর উপস্থাপনায় আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপি চেয়ারপারসন উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও দক্ষিণ সুরমা বিএনপির সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন, সিলেট জেলা জজকোর্ট এর পিপি এ টি এম ফয়েজ উদ্দিন, সাবেক ছাত্রনেতা আলমগীরকু্মকুম, আমেরিকা বিএনপি নেতা জাকারিয়া মাহমুদ,যুক্তরাজ্য স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আফিকুর চৌধুরী, আলহাজ্ব আশরাফ হোসেন, মাসশেকুর রহমান, আব্দুল বাসেত, মো জিল্লু মিয়া প্রমূখ।