জগন্নাথপুর প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে বন্যার পানি চলে যাওয়ার পর ক্রমান্বয়ে ভেসে উঠছে ক্ষতচিহৃগুলো। এতে শুধু সড়কেই শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কতৃর্পক্ষের দাবি। বর্তমানে সড়কগুলোর বেহাল দশায় পরিণত হয়েছে। ফলে বেড়েছে জনভোগান্তি।
জানাগেছে, বিগত ২০২২ সালের স্বরণকালের ভয়াবহ বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলায় রাস্তাঘাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সেই ক্ষতি কাটিয়ে উঠার আগেই চলতি ২০২৪ সালের বন্যায় ফের ক্ষতি হয়েছে। এবারের বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, জগন্নাথপুর—বেগমপুর, জগন্নাথপুর—চিলাউড়া, জগন্নাথপুর থেকে কেশবপুর, এরালিয়া, বনগাঁও, লাউতলা, রসুলগঞ্জ, কলকলিয়া—তেলিকেনা, নয়াবন্দর, দাওরাই, জয়দা, কাঠালখাইড় এলাকায় অবস্থিত প্রধান ও জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো।
১ আগস্ট বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, জগন্নাথপুর—চিলাউড়া সড়কের ভবানীপুর ও যাত্রাপাশা এলাকায় বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সড়কের অসংখ্য স্থানে ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যদিও এসব গর্তে ইটের সুরকি ফেলে কোন রকমে চলাচলের ব্যবস্থা করে দেয়া হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। এ সময় সবুর মিয়া সহ গাড়ি চালকদের মধ্যে কয়েকজন বলেন, সড়কের অবস্থা খারাপ হওয়ায় খুব সাবধানে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। আবদুল আলী, দবির উদ্দিন সহ কয়েকজন পথচারী বলেন, বন্যার আগেই এ সড়কের অবস্থা ভালো ছিল না। কোন রকমে চলাচল করা গেলেও বন্যার পর অবস্থা বেহাল হওয়ায় জনভোগান্তি বেড়েছে। তাই জনভোগান্তি লাঘবে এসব ভাঙ্গাচোরা সড়কগুলো দ্রুত সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ভূক্তভোগী মানুষজন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেন জানান, এবারের বন্যায় জগন্নাথপুর উপজেলার ১২০ কিলোমিটার সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এতে প্রায় শতকোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এসব সড়কগুলো পুনরায় সংস্কারের জন্য আমাদের উর্ধ্বতন কতৃর্পক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। তা অনুমোদন সহ বরাদ্দ আসলে কাজ শুরু হবে।