বদরুল ইসলাম চৌধুরী হাসান: সিলেটে চার ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন নার্সিং শিক্ষার্থীরা ও বিভিন্ন হাসপাতালের নার্সরা। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বেলা ১১টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত তারা মহানগরের চৌহাট্টা পয়েন্টে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও অবস্থান করেন তারা। পরে জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়।
জানা যায়, এম এ জি ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারি হাসাপাতাল থেকে ‘ভুয়া’ নার্সদের অপসরারণের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন বিভিন্ন হাসপাতালের সিনিয়র নার্স ও নার্সিং কলেজ থেকে পাস করা সেবক—সেবিকারা। তাদের অভিযোগ— গত সরকারের আমলে অনেক নার্স মাত্র ছয় মাস প্রশিক্ষণ করেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়োগ পেয়েছেন। কিন্তু দায়িত্ব পালনকালে তারা অনেক ভুল করেন। যার দায়ভার এসে পড়ে সিনিয়র নার্সদের উপর। এ অবস্থায় তারা আন্দোলন নেমেছেন।
বিকাল ৩টা পর্যন্ত চৌহাট্টা পয়েন্টে হাজারো নার্স জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। এসময় বন্দরবাজার—আম্বরখানা ও মিরবক্সটুলা—রিকাবিবাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীসাধারণ ও পথচারীরা।
বিকাল সোয়া ৩ টার দিকে আন্দোলনস্থলে আসেন সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতা আরিফুল হক চৌধুরী। এসময় তিনি আন্দোলনকারীদের শান্ত করে সড়ক অবরোধ প্রত্যহারের আহ্বান জানিয়ে তাদের একটি প্রতিনিধি দলকে নিয়ে সিলেট জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসানের কার্যালয়ে নিয়ে যান। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠকে জেলা প্রশাসক এসময় আন্দোলনকারীদের কাছে নিয়োগপ্রাপ্ত ‘ভুয়া’ নার্সদের তালিকা চান। তালিকা দিলেই ২—১ দিনের মধ্যে তাদের সঙ্গে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেন জেলা প্রশাসক। তাঁর আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন নার্সরা।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক সিলেট বেগম রাবেয়া খাতুন নার্সিং কলেজ থেকে উত্তীর্ণ হওয়া ফয়েজ আহমদ বলেন— আমরা লিখিত কয়েকটি দাবি মাননীয় জেলা প্রশাসক বরাবরে পেশ করেছি। প্রধান দাবি হচ্ছে— ওসমানী মেডিকেলসহ বিভিন্ন সরকারি—বেসরকারি হাসাপাতাল থেকে ‘ভুয়া’ নার্স—ব্রাদার্সদের অপসরারণ করতে হবে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আমাদের শীঘ্রই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস দেওয়ায় আমরা আন্দোলন আপাতত স্থগিত করেছি, দাবি আদায় না হলে কঠোর আন্দোলনের ডাক দিবো।