হাওরাঞ্চলের কথা :: চাচাতো বোনের স্বামীর কাছে একাধিবকার চাঁদা দাবি করে না পেয়ে মিথ্যাচার ও অপপ্রচার চালাচ্ছেন সিলেট মহানগরের চৌকিদেখির রূপসা আবাসিক এলাকার ১ নম্বর বাসার মৃত আবদুল হামিদের ছেলে আবুল কাসেম আসাদ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বেলা আড়াইটায় সিলেট জেলা প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন চৌকিদেখির রংধনু আবাসিক এলাকার ৬ নম্বর বাসার বাসিন্দা ও বিমানবাহিনীর প্রাক্তন সদস্য মোশাররফ হোসেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, তার স্ত্রীর চাচাতো ভাই অভিযুক্ত ব্যক্তি আসাদ। মোশাররফের স্ত্রীর কোনো ভাই না থাকায় তার শ্বশুর-শাশুড়ি সকল জায়গা-সম্পত্তি মেয়ের (মোশাররফের স্ত্রীর) নামেই লিখে দিয়ে যান। তবে মোশাররফের স্ত্রীর ২৪ শত জমির উপর চাচাতো ভাই আসাদের লুলোপ দৃষ্টি পড়ে। তবে মোশাররফ তাঁর শ্বশুরের মৃত্যু ও শাশুড়ির অসুস্থতাজনিত কারণে তিনি চাকরিজীবনের পর থেকেই শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছেন। সেটি সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন সময় আসাদ চাঁদ দাবি করেন মোশাররফের কাছে। চাঁদা না পেয়ে তিনি বিমানবাহিনীর প্রাক্তন এই সদস্যের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছেন। এমনকি স্থানীয় আবদুল হক নামের একজনের জমির আমমোক্তারনামা নিয়ে সরকারি ছড়া পার হয়ে অযৌক্তিভাবে ২৬ পয়েন্ট ভূমি দাবি করে মোশাররফফের স্ত্রীর বাসার বাউন্ডারি দেওয়াল ভাঙচুর করেছেন আসাদ।
মোশাররফ হোসেন সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, “আমার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করে আসাদ মিথ্যাচার করে বলেন- আমাকে বিমানবাহিনীর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অথচ প্রকৃত বিষয় হচ্ছে- আমার পরিবারিক সমস্যার কারণে চাকরি জীবনের ১৪ বছর পর আমি নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবসর নিয়েছি। সুতরাং চাকরিচ্যুত হওয়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যচার।”
সংবাদ সম্মেলনে আসাদকে একজন খারাপ প্রকৃতির লোক উল্লেখ করে মোশাররফ বলেন, “আমার স্ত্রীর চাচাতো ভাই মাদকাসক্ত। একাধিকার তাবে পুনর্বাসন কেন্দ্রে দেওয়া হলেও তিনি সেখান থেকে পালিয়ে আসেন। পুরো চৌকিদেখির নিরীহ মানুষজন তার যন্ত্রণায় অতিষ্ট। তার নির্যাতনের ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।”
তিনি জানান, আসাদের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে মোশাররফ আদালতে মামলা করেন। মামলার পর বিরোধপূর্ণ ওই জায়গায় তাকে যেতে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা দিলেও আসাদ বার বার তার কাজে বাধা প্রদান ও হামলা করেন। আসাদের এমন দৌরাত্ম্য থামাতে মোশাররফ হোসেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেন।