1. mdjoy.jnu@gmail.com : admin : Shah Zoy
  2. satvsunamgonj@gmail.com : Admin. :
সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩২ অপরাহ্ন
  •                          

হাওরাঞ্চলের কথা ইপেপার

ব্রেকিং নিউজ
শ্রীমঙ্গলসহ সিলেট বিভাগ পর্যটনের জন্য একটা আকর্ষনীয় অঞ্চল ——প্রধান উপদেষ্টার মূখ্য সচিব ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর ও জাফলংয়ের পাথর লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা —জেলা প্রশাসক দিরাই -শাল্লার সার্বিক উন্নয়নের জন্য জমিয়তে উলামের মনোনিত ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে সংসদে পাঠানোর আহবান কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ড. শুয়াইব আহমদ আওয়ামী লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা সময়ই বলে দেবে – সিলেটে সিইসি ধর্মপাশায় ডাঃ রফিক চৌধুরী হাইস্কুলের ক্যাম্পাস উদ্ভোধন করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা শাল্লায় এক প্রবাসীর বাড়ীতে ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনার তিন দিন পেরিয়ে গেলেও মামলা না নেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্ষতিগ্রস্থরা নির্বাচনের কথা শুনলেই অনেক উপদেষ্টার মুখ কালো হয়ে যায়: মেজর হাফিজ সিলেট আলহামরা শপিং সিটি’র নুরানী জুয়েলার্সে রহস্যজনক চুরি ভোলাগঞ্জে টাস্কফোর্সের বড় অভিযান সুনামগঞ্জ-৪ আসনে জমিয়তের মনোনয়ন প্রত্যাশী   মুখলিছ চৌধুরীর গণসংযোগ ও নির্বাচনী প্রচারনা

গাজায় মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে ডয়েচে ভেলেকে তথ্যচিত্র তৈরির আহ্বান তথ্য প্রতিমন্ত্রীর

Reporter Name
  • আপডেট করা হয়েছে মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪
  • ৮৮ বার পড়া হয়েছে

হাওরাঞ্চল ডেস্ক :

গাজায় গণহত্যা নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ ও প্রচারের মাধ্যমে ডয়েচে ভেলে (DW) (জার্মানির রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন আন্তর্জাতিক সম্প্রচার সংস্থা)-কে মানবাধিকারের প্রতি তার অঙ্গীকার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রমাণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে তথ্য কমিশন বাংলাদেশ-এর সম্মেলন কক্ষে ‘অনগ্রসর, প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত নাগরিকের তথ্য অধিকার’ বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
তথ্য কমিশন বাংলাদেশ, ইউএস এইড, দি কার্টার সেন্টার যৌথভাবে এ কর্মশালা আয়োজন করে।

এসময় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিকট অতীতে ডয়েচে ভেলে মানবাধিকার নিয়ে একটি রিপোর্ট করেছে, যেখানে শ্রীলঙ্কা, যে দেশ কিছু দিন আগেও গৃহযুদ্ধ মোকাবিলা করেছে তার সাথে বাংলাদেশকে তুলনা করা হয়েছে। আমি এটির সমালোচনা করবো না। মানবাধিকার নিয়ে যে কোনো সংস্থার অঙ্গীকারের আমি প্রশংসা করি। শুধু আমি আহ্বান জানাবো ডয়েচে ভেলের যদি মানবাধিকারের প্রতি এত অঙ্গীকার থাকে সেটার প্রমাণ তারা দিক। গাজাতে মানবাধিকারের যে লঙ্ঘন হচ্ছে, গণহত্যা হচ্ছে সেটার ওপর আরেকটি প্রামাণ্যচিত্র তারা বানিয়ে দিক। তার মাধ্যমে মানবাধিকারের প্রতি তাদের অঙ্গীকার প্রমাণ করুক এবং একইসাথে তাদের গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কতটুকু আছে সেটাও তারা প্রমাণ করুক। আর যদি সেটা তারা করতে না পারে তাহলে আমরা ধরে নেবো ডয়েচে ভেলের প্রামাণ্যচিত্র একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে। একটা বিশেষ মহল বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এটি করেছে। যারা প্রকৃত অর্থে আমাদের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনের সমস্যা এবং তাদের উন্নয়ন নিয়ে কথা বলে না। বাংলাদেশকে পৃথিবীর সামনে খাটো করে দেখানোর যে অপচেষ্টা করে, তার অংশ হিসেবে এই প্রামাণ্যচিত্র হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এ দেশের মানুষের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার অবিশ্বাস্য। বঙ্গবন্ধু কন্যার শক্ত নেতৃত্বে আমরা যখন এগিয়ে যাচ্ছি, আমরা যখন বিশ্বমঞ্চে আমাদের অবস্থান বদলানোর চেষ্টা করছি, তখন এক ধরণের আন্তর্জাতিক ও দেশীয় ষড়যন্ত্র আমরা লক্ষ্য করি।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের হতদরিদ্র মানুষদের জন্য, বিশেষ করে ভূমিহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্প করে তাদের আশ্রয়ণের ব্যবস্থা করেছেন। তাদের মানবাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্নের যে বাংলাদেশ, সেখানে ধর্ম, বর্ণ এবং লিঙ্গ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের সমান অধিকার থাকবে। সেটি সংবিধানে নিশ্চিত করা আছে, আইনগতভাবে করা আছে, এখন রাজনৈতিকভাবেও সেটি নিশ্চিত করা আছে। সামাজিকভাবেও তার বাস্তবায়ন আমরা সব জায়গায় দেখতে চাই। এজন্যই তথ্য অধিকার আইন করা হয়েছে।

বেদে সম্প্রদায়ের মানুষদেরও প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ন প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করেছেন, তাদের ভোটাধিকারের ব্যবস্থা করেছেন- যোগ করেন প্রতিমন্ত্রী।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সবচেয়ে অবহেলিত জনগোষ্ঠীর, ভূমিহীনদের মানবাধিকার সংরক্ষণ, তাদের ভোটাধিকার সংরক্ষণ এবং ভোট প্রদানের মাধ্যমে তাদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা সংরক্ষণ করায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কাজ করছে। তবে এই বিষয়গুলো রাজনৈতিক ফোরামে উঠে আসে না। অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকারের সুরক্ষা এক সময় অবহেলিত হয়েছিল, সব সময় তাদের বঞ্চনা ছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যা সেগুলোর সমাধান করেছেন।

তিনি আরও যোগ করেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তথ্য অধিকার আইন পাশ হয়। এ আইন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ও গণতন্ত্রের প্রতি অঙ্গীকার প্রমাণ করে। এ আইনের দুইটি পক্ষ আছে। একটি পক্ষ হচ্ছে যারা তথ্য দেবেন, আরেকটি পক্ষ হচ্ছে যারা তথ্য নেবেন। তথ্য কমিশন দুপক্ষকেই তথ্য অধিকার আইনের বিষয়টি বোঝানোর জন্য নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। যারা সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে কাজ করছেন তাদের একটা জিনিস বুঝতে হবে যে তথ্যের মালিক জনগণ। জনগণের তথ্য চাওয়ার অধিকার এ আইন নিশ্চিত করেছে। জনগণের পক্ষ থেকে যদি গণমাধ্যম তথ্য চায়, সেই তথ্য দিতে হবে। যারা তথ্য দেবেন তাদের এ বোধের জায়গাটা তৈরি হওয়া দরকার। একইসাথে যারা তথ্য নেবেন তারা অনেক সময় এ তথ্যের যথাযথ ব্যবহার করে না। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহার করে অধিকার চর্চা করতে গিয়ে অনেক সময় অনধিকার চর্চা হয়ে যায়।

তথ্যকে শক্তি উল্লেখ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, তথ্যের দুটি দিক আছে। তথ্য যদি সঠিক হয় তাহলে সেটি শক্তিশালী। এটি যদি সঠিক না হয়, তাহলে ধ্বংসাত্মক হতে পারে। সামাজিকভাবে যে অপতথ্যগুলো আমাদের দেশের সাধারণ মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে, সেগুলো নিয়ে আমরা অনেকে চিন্তা করি না, কথা বলি না। শুধু রাজনৈতিক অপতথ্য না, সামগ্রিকভাবেই অপতথ্য ধ্বংস ডেকে আনে।‌ আর সঠিক তথ্য মানুষকে ক্ষমতায়িত করে। এ কারণে সঠিক তথ্য পাওয়া নিশ্চিত করার সাথে সাথে অপতথ্য রোধে আমাদের কাজ করা দরকার।

তিনি বলেন, তথ্য অধিকার হচ্ছে মানবাধিকার। মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশে এ সমাজে এটি আমরা নিশ্চিত করতে চাই। কারণ এই সমাজ যত জবাবদিহিমূলক হবে, স্বচ্ছ হবে, আমরা তত এগিয়ে যাবো। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি ছাড়া স্মার্ট সমাজ অসম্ভব, টেকসই উন্নয়ন অসম্ভব। পরিবেশ-প্রতিবেশ মাথায় রেখে সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করে একসাথে এগিয়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকৃত অর্থে টেকসই উন্নয়ন ও স্মার্ট সমাজ তৈরি হবে। এটি মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন, এটি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন। দেশের সকল মানুষকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মধ্যে এনে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। না হলে আমাদের উন্নয়ন টেকসই হবে না।

প্রতিমন্ত্রী আরও যোগ করেন, গত পনেরো বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের সকলকে নিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলকভাবে এগিয়ে যাওয়া প্রমাণ করেছেন। অর্থনৈতিক বৈষম্য কমিয়ে একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের দিকে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি বলেই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমরা এগোতে পারছি।

প্রধান তথ্য কমিশনার ডক্টর আবদুল মালেকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, ইউএস এইড এর অফিস পরিচালক অ্যালেনা তানসে, তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক এবং তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন তথ্য কমিশনের সচিব জুবাইদা নাসরীন। স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন দি কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদা। কর্মশালায় বিষয়ভিত্তিক উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক জোবাইদা নাসরিন। পরে প্রতিমন্ত্রী তথ্য কমিশনের তথ্য অধিকার নিউজ লেটার-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন